মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে ২০১৯ সাল হতে চলেছে এক মাইলস্টোন| মহাকাশবিজ্ঞানীদের হাত ধরে আসছে একের পর এক সাফল্য| গতকাল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি দেখল গোটা বিশ্ব| তারই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের হাত ধরে এলো আরও একটি সাফল্য| এবার নাসার ‘কিউরিয়সিটি’ নামক একটি রোভার মঙ্গল গ্রহে ছিদ্র করে মঙ্গলের গতিপ্রকৃতি জানার দিকটি আরও প্রসারিত করে ফেলল| এর আগে নাসার যান ‘অপরচুনিটি’ মঙ্গলের মাটিতে প্রাণ হারানোর পর এক কাজ খানিকটা হলেও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল| খানিক মন খারাপের পালা সেরে বিজ্ঞানীরা আবার নতুন উদ্যমে লাল গ্রহে পাঠায় তাদের পরবর্তী যান ‘কিউরিয়সিটি’কে|
সেই থেকে লাল গ্রহের মাটিতে ঘুরে বেরিয়ে পৃথিবীর জন্য নানা তথ্য সঞ্চয় করেছে সে| নাসার তরফ থেকে একটি অফিসিয়াল পোস্ট করে জানানো হয়েছে, তাদের পাঠানো রোভার কিউরিয়সিটি অত্যন্ত সফলভাবে মঙ্গলে গ্রহের মাটিতে একটি বিশেষ জায়গা যাকে ‘অ্যাবারলেডি’ নাম দেওয়া হয়েছিল সেই স্থানটিতেই একটি গর্ত খুঁড়তে সক্ষম হয়েছে| জানা গেছে, ২০১২ সালে মঙ্গলের মাটিতে পা দেওয়ার পর থেকেই লাল গ্রহ সম্পর্কে নানা জানা অজানা তথ্য পাঠাতে থাকে| এবার এই অ্যাবারলেডি জায়গাটির অভ্যন্তরে কি রয়েছে তা জানবে কিউরিয়সিটির কেমক্যাম| সুড়ঙ্গের গভীরে থাকা রহস্যের পাশাপাশি এবার সে খোঁজ নেবে তার পাশেই অবস্থিত জায়গা ‘মায়ার’এর| নাসার কিউরিয়সিটি টিম জানিয়েছেন, তাদের পরবর্তী কাজ হলো, এই জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া পাথরগুলি ভালো ভাবে খুঁটিয়ে দেখা| নাসা জানিয়েছে, যদি একবার গুঁড়ো পাথরের সন্ধান মিলে থাকে তাহলে বার বার সেই পাথরের গুঁড়ো পরীক্ষা করে দেখতে হবে সেইগুলি বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুযায়ী তাদের ধর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে কিনা| নাসার গবেষকগণ জানিয়েছেন, এর আগে তারা যেইভাবে মঙ্গলে গর্ত খোঁড়ার কথা ভেবেছিলেন তা সঠিকভাবে রুপায়ণ করা সম্ভব হয়নি| তাই ২০১৭ সালে প্রযুক্তিগত অসুবিধার কারণে কিউরিয়সিটি ড্রিল করা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল| তাই নতুন করে আবার ভাবনাচিন্তা শুরু করেন বিজ্ঞানীগণ| তারা জানান, এইবার নিজের মতো করেই লালগ্রহের বুকে আঁচড় কেটে ফেলেছে মঙ্গলযান কিউরিয়সিটি| একই দিনে দুটি সাফল্য একসাথে আসাতে বোঝাই যাচ্ছে এই বছর মহাকাশ গবেষনার দিক দিয়ে অনেক কিছু পেতে চলেছে এই বিশ্ব|