দই না ঘোল, কোনটা খাবেন?

দইয়ের থেকে তৈরী হয় ঘোল। দই আর ঘোল দুটিই আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দইয়ের থেকে ঘোল শরীরের জন্য বেশি উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বলা হয়, দইয়ের থেকে ঘোল শরীরের জন্য বেশি উপকারী। সত্যিই কি তাই? চলুন জেনে নেওয়া যাক..........

 

দইকে পাতলা করে অর্থাৎ জল মিশিয়ে তৈরী হয় ঘোল। আমরা জানি কোনো জিনিসে জল মেশানোর ফলে অনেকক্ষেত্রেই তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। এক্ষেত্রে হয় ঠিক উল্টোটা। ঘোল দইয়ের তুলনায় পাতলা হওয়ার ফলে হজম খুব সহজে হয়ে যায়। জলীয় উপাদান বেশি থাকার ফলে শরীরকে সঠিক পরিমানে হাইড্রেট করতেও ঘোলের উপকারিতা বেশি।দইও শরীরকে হাইড্ৰেট করে কিন্তু তার পরিমান ঘোলের থেকে সবসময় কম হয়ে থাকে। দই ও ঘোল একই জিনিস দিয়ে তৈরী হলেও দইয়ের থেকে ঘোল অনেকটাই বেশি উপকারী নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য.............

১) অতিরিক্ত তেলমশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেকসময় পেটে অস্বস্তি হতে থাকে। সেই সময় যদি এক গ্লাস ঘোল খাওয়া যায় তাহলে খাবার খুব তাড়াতড়ি হজম হয়ে যায়।পাকস্থলীকে সেই মুহূর্তে আরাম দিতে সাহায্য করে ঘোল

২) শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমান মেদ থাকে তাহলেও ফিকর নট। এক্ষেত্রেও ত্রাতা হিসেবে দেখা দিতে পারে ঘোল। শরীরের ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে দই থেকে তৈরী ঘোলই

৩) কথাতেই আছে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো হয়। কথাটি কিন্তু একেবারেই সত্যি। ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্ট মানুষজন দই না খেতে পারলেও অনায়াসে ঘোল খেতে পারে।দুধের সমস্ত গুনাগুন সেই মানুষটি পায় ঘোলের থেকে।

৪) যাদের হাই প্রেসার রয়েছে ঘোল তাদের জন্যও ভালো।

বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে গোলের। কিন্তু চিকিৎসকের জানাচ্ছেন, যার খুব রোগা বা যারা অপুষ্টিতে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘোল না খাওয়াই ভালো। তাদের ক্ষেত্রে দই বেশি উপকারী। এছাড়াও যাদের ডায়েটে ফ্লুইড কম খাওয়ার কথা রয়েছে তাদেরও ঘোল খাওয়া উচিত নয়। দিতে জলের পরিমান থকাৰ কারণে তাদের শরীরে সমস্যা হয় না।

জেনে নিলেন, দই ও ঘোল দুয়ের উপকারিতা। এবার আপনার শরীরের জন্য কোনটি প্রয়োজন তা বুঝে নিয়ে বেঁচে নিন এর মধ্যে যেকোনো একটি।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...