চলেই এল বাংলার বড় উৎসব, দুর্গা পুজো। এখন চলছে শেষ মুহুর্তের তোড়জোর। প্রতিমাকে রঙের শেষ টান, মাকে সাজানো ইতিমধ্যেই শেষ। অনেক জায়গায় পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় বেড়লেই ভীড়ের সমাগম।
অন্যদিকে বাড়ির ঠাকুরদালান সেজে উঠছে, প্রতিমা আনা হয়ে গেছে, সাথে সেজে উঠেছে আলপনায়। বাঙালির কাছে একটা প্রিয় জিনিস হল আলপনা, এর উপস্থিতি ছাড়া যে কোনও পুজো বৃথা।
এবার এই আলপনাই দেওয়া হল দুই শহরের বাঁধনের মাঝপথ। সেজে উঠেছে আমাদের সবচেয়ে পুরোনা, হাওড়া ব্রিজ। সেই হাওড়া ব্রিজের গায়েও পড়ল আলপনার সুচিত্রিত বিন্যাস।
ক্রোমার উদ্যোগে শহরের বিশিষ্ট শিল্পীরা তাঁদের দলের সবাইকে নিয়ে আলপনায় সাজিয়ে দিলেন হাওড়া ব্রিজে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্টের সহযোগিতায় ক্রোমার এই অভিনব উদ্যোগে অংশ নিতে এগিয়ে এসেছিলেন শহরের বিশিষ্ট শিল্পী সঞ্জয় পাল, অন্বেষক দাঁ সহ ৮০ জন সহযোগী।
সরকারি আর্ট কলেজের এই শিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আর তাদের সেই প্রতিভা দিয়েই ফুটে উঠেছে হাওড়া ব্রিজ। নব রুপে মোহময়ী রূপ ধারণ করেছে হাওড়া ব্রিজ।
এই আলপনায় একদিকে যেমন রয়েছে সাবেকিয়ানা, তেমনই আমাদের দৈনন্দিনতার জড়িয়ে থাকা আধুনিক প্রযুক্তির কথা ধরে তুলেছে। কী ভাবে গ্যাজেটসের ভূমিকা উৎসবের দিনগুলোকে আনন্দে ভরাতে পারে, তাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
হাওড়া ব্রিজের এই ভাবনাটা কলকাতা শহরের জন্য একটা গর্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রোমা সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার শিবাশিস রায় এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালে শহর পেয়েছিল ক্রোমা, তার পর থেকে গ্রাহকের চাহিদার সঙ্গে পা মিলিয়েছে এই ব্র্যান্ড এবং গড়ে তুলেছে আরও ১৪টি স্টোর শহরের ইতিউতি।
তাই গ্রাহকের কথা ভেবেই ক্রোমা এবার গ্যাজেট জয়যাত্রার আলপনা এঁকে দিল হাওড়া ব্রিজের বুকে। এই উদ্যোগ ব্রিজ তাল মিলিয়ে চলছে পুজোর আবহাওয়া।