৩ বছরের সর্বকনিষ্ঠ হাইকার

আজকাল আমরা কেউ হাঁটতেই চাইনা। যতটা পারি, হাঁটাহাঁটি এড়িয়ে গাড়িতেই বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া পছন্দ করি। হাঁটা এখন সকালে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে গেছে 'মর্নিং ওয়াক'-এর নামে। কিন্তু আমরাই ছোটবেলায় যেখানে যেতাম হেঁটেই যেতাম। দৌড়োদৌড়ি না করলে ছেলেবেলার মজাটাই পাওয়া যেতনা। তাছাড়া আমাদের সময়কার প্রত্যেক অভিভাবকদের কথা ছিল, যত বেশি হাঁটাহাঁটি করবে, শরীর ততই ভালো থাকবে। কিন্তু এখন এমন কেউ কেন বলেননা, বুঝিনা। যাই হোক, আজকে একেবারে খুদেকে নিয়ে একটি খবর জানাবো আপনাদের।

       ছোট থেকেই হাঁটতে ভালোবাসে কাশ্মীরের ছোট্ট মেয়ে আইজেল মাসুদি বাবার সঙ্গে রোজ হেঁটে পাহাড়ে ওঠানামা করে বেশ কয়েকবার। তিন বছরের আইজেল লাঠি নিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে চড়াই-উৎরাই করে রোজ। এইভাবেই সে কিন্তু জায়গা করে নিয়েছে ভারতের রেকর্ড বুকে। এই মুহূর্তে সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ হাইকার। নির্বিকারভাবে পাহাড়ি এলাকায় রোজ যাতায়াত করে বাবার সঙ্গে। কন্যার পথচলা দেখে বাবাই অবাক হয়ে যান।

     সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশবিদদের একটি সংগঠন কাশ্মীরে এসেছিল। তাদের নজরেই প্রথম পড়ে আইজেল। তাঁদের বিচারেই আইজেল সবচেয়ে ছোট হাইকারের তকমা পেয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সোপোর এলাকায় পরিবেশ সচেতনতা শিবির করার সময় ওই সংগঠনের নজরে পড়ে আইজেল। সংগঠনের শীর্ষকর্তা 'বিলাল আহমেদ' জানান, সপ্তাহজুড়ে ওই এলাকায় তাঁরা পরিবেশ সচতনতা শিবির করছেন, ৪ তারিখ তা শেষ হয়েছে। সেই সময়েই আইজেল তাঁদের নজরে আসে। উক্ত এলাকায় ও-ই সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। পরিবেশপ্রেমী সংগঠনটি দেশের কনিষ্ঠতম হাইকারের একটি সার্টিফিকেটও আইজেলের হাতে তুলে দিয়েছে। তাকে পরিবেশ সচেতনতায় সর্বকনিষ্ঠ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হিসেবে নিয়োগ করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...