শীত যেতে না যেতেই চলে এসেছে প্যাচপ্যাচে গরম। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি। আবার দিনের বেলায় এতটাই গরম পড়ছে যে মানুষের পক্ষে টেকা দায় হয়ে উঠছে। কিন্তু রাতের বেলায় হচ্ছে আবার উল্টোটা। ঠান্ডার চোটে গায়ে চাপাতে হচ্ছে চাদর। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপোনার জন্য ঘরে-ঘরে দানা বাঁধছে রোগজীবানু। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে জ্বর-সর্দি-কাশি। গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের ফলে শিশু থেকে বয়স্ক সকলে জেরবার হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত রোগীদের।
এই ফিভারে পড়লে টানা চার-পাঁচ দিন ভোগানোর পরই এখন তারা বিদায় নিচ্ছে। এটি মূলত একধরণের ভাইরালজনিত ফিভার। জ্বরের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে সর্দি-কাশি। পিছু ছাড়েনি তারাও। সাথে রয়েছে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও। ডাক্তারদের ধারণা, এটি মূলত অক্সিজেনের অভাবে হয়ে থাকে। আজকাল প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, ২ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুরা ব্রঙ্কিওলাইটিসের স্বীকার হচ্ছে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফুসফুস। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের ফলে পিছু ছাড়েনি এলার্জিও। আর এলার্জি থেকে বাঁচতে সঙ্গী করে নিন রুমাল বা মাস্ককে।
এছাড়া জ্বর হলে ডাক্তাররা প্রথমে বেছে নিতে বলেছেন প্যারাসিটামলকে। তবে ৪-৫ দিন পর্যন্ত জ্বর না কমলে তখন ডাক্তাররা আন্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দেন। এইসময় চিকেন স্যুপ, ফল, সাল্যাড, ডাবের জল, আদা-রসুন প্রভৃতি খাবারের তালিকায় রাখা উচিত। এর ফলে শরীর ভিতর থেকে মজবুত হয় এবং শরীরে রোগের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা প্রদান করে।