শরীর ঠান্ডা রাখবে কুলিং জ্যাকেট। গরমের দিনে এমন জ্যাকেট এর জুড়ি নেই। সস্তায় এমন কুলিং জ্যাকেট তৈরী করে মার্কিন মুলুকেও বিখ্যাত হলেন ভারতের তরুণ বিজ্ঞানী রূপম ঘোষ। বর্তমানে আই আই টি-র ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ইন্টার্ন রূপম এর বিজ্ঞান উৎসাহ শুরু হয়েছিল তার স্কুল জীবন থেকেই। মাধ্যমিকের পরপরই তৈরী করে ফেলেছিলেন বিট দ্যা হিট কুলিং জ্যাকেট।
এই তরুণ বিজ্ঞানীর কুলিং জ্যাকেট এতটাই সারা ফেলে দেয় যে আবিষ্কারক হিসেবে জাতীয় পুরস্কারের পেটেন্টও পেয়ে যান রূপম। নবম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রূপমের দাদু মারা গেছিলেন সান স্ট্রোকে । এই ঘটনাটই বিশেষ ভাবে দাগ কাটে তার মনে। রোদে পুড়ে কষ্ট করে ক্ষেতে খামারে যারা কাজ করে বেড়ান তাদের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেছিলেন তখন থেকেই।
বাজারে অন্যান্য কুলিং জ্যাকেটের দাম যখন ৩৫ হাজারের উর্দ্ধে তখন রূপমের তৈরী কুলিং জ্যাকেটের দাম মাত্র আড়াই হাজার টাকা। প্রচলিত কুলিং জ্যাকেটের তুলনায় বেশ হালকা এবং সহজে বহন যোগ্য এই কুলিং জ্যাকেট। জ্যাকেটে সব মিলিয়ে তিনটি ফ্যান এর ব্যবস্থা রয়েছে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য। ঠান্ডা হবে এ সির মত ইভাপোরেটিং সিস্টেমে। সামনের পাখা দুটি শরীরের গরম হাওয়া বের করে দেয়। পিছনের পাখা ওয়াটার বাবলিং সিস্টেমের মাধ্যমে জ্যাকেট ঠান্ডা করবে। এ সি-র মতোই শরীর শীতল রাখবে কুলিং জ্যাকেট। ছোট ব্যাটারিতে চালিত হবে কুলিং সিস্টেম। এ ছাড়াও জ্যাকেটের সাথে ক্যাপে থাকবে সোলার সিস্টেম ব্যবস্থা। আগামী দিনে এমন আরও জ্যাকেট তৈরী হলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে আশাবাদী রূপম।
দ্যা নিউ ইয়র্ক অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স এর সদ্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন রূপম। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল নিয়েও একটি বিশেষ গবেষণা পত্র জমা দেন রূপম এবং তার দল। নিউ ইয়র্ক এর প্রতিষ্ঠানটিতে ফেলো হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি। ভারতীয় বিজ্ঞানী রূপম চন্দননগর আলতারার ছেলে। রূপমের বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বেলুড়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। মা রুপালি ঘোষ গৃহিনী। ছেলের পড়ালেখার সব খরচ শিক্ষা দপ্তর জুগিয়েছে বলে জানানা তারা। রূপমের কৃতিত্ত্ব নিয়ে বাবা মায়ের সাথে গর্বিত তার শিক্ষকরাও।