ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে হিসেবে করে চলা তথা খরচ কমানো অগ্রাধিকার পায়। সেই কারনে তাঁর বিদেশ ভ্রমণের সময় বিশ্রাম নেওয়া বা চেঞ্জ করে ফ্রেশ হওয়ার জন্য তিনি পাঁচতারা হোটেলে রাত কাটানোর চাইতে এয়ারপোর্টের লাউঞ্জেই সেই কাজ সেরে ফেলতে বেশি আগ্রহী। সাধারণত টেকনিক্যাল হল্ট বা এয়ারক্রাফটের জ্বালানি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গী ডেলিগেটরা পাঁচতারা হোটেলে বিশ্রাম নেবেন এটাই রেওয়াজ। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের যাতায়াতের সময়কালীন বিশ্রাম এয়ারপোর্টের লাউঞ্জেই সারেন বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
নিজের ব্যক্তিগত জীবনে যথেষ্ট নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকেন প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাইরের কোনও প্রদেশে গেলে নরেন্দ্র মোদী ২০% কম স্টাফ নিয়ে যান তাঁর সঙ্গে। এছাড়াও সরকারি ডেলিগেটদের বেশি গাড়ি ব্যবহার করতেও নিষেধ করেন প্রধানমন্ত্রী। আগে যেখানে অফিসাররা নিজেদের জন্য প্রত্যেকে আলাদা আলাদা গাড়ি ব্যবহার করতেন, এখন তাঁরা একসঙ্গে অনেকে বড় গাড়িতে বা বাসে যাত্রা করেন। শাহ বুধবার লোকসভায় বলেন, সিকিউরিটি অনেকের কাছে স্ট্যাটাস সিম্বল আবার কারো কাছে খুব নগন্য একটা ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত প্রোটোকল ভেঙে দিয়েছেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।