সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ যেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সেখানে করোনাও এই কোরোনা ভাইরাসের তান্ডবে দিশেহারা। শুনে অবাক লাগছে ! মনে হতেই পারে, যে করোনা গোটা বিশ্বব্যাপী বিশ্বমারী হয়ে বৈজ্ঞানিক , সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ডাক্তারদেরও প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে , সেই আবার করোনা আক্রান্ত ? আজ সেই রহস্যই বলবো।
প্রসঙ্গত বলা ভালো যে ,এই করোনা কোনো ভাইরাস নয়। এটি অস্ট্রিয়ার এক ছোট্ট গ্রাম ' সেন্ট করোনা ', যদিও তার পরিচিতি ‘করোনা গ্রাম’ নামেই। না -কোনো ভাইরাসের নামে এই গ্রামের নাম হয়নি।হয়েছিল এক ক্যাথলিক সাধক করোনার নামে। সম্প্রতি করোনার তান্ডবে এখানকার বাসিন্দারাও রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে ।
৪০০ পরিবার সমন্বিত এই করোনা গ্রামটির অবস্থান ভিয়েনা থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অস্ট্রিয়ায় ,আল্পস পর্বতের পাদদেশে । এই ভাইরাসের আক্রমণের পর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের উপার্জনের মূল পথই পর্যটন শিল্প নির্ভর। শুনলে অবাক হবেন এই গ্রামের পর্যটন শিল্পের ম্যাসকট একটি পিঁপড়ে। তার নামও করোনা। কিন্তু বিশ্বব্যাপী লকডাউনে তার অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকার উপক্রম হয়েছে। এতদিন গ্রামের নাম আর ভাইরাসের নাম এক হওয়ায় তা নিয়ে হাসিঠাট্টা চললেও এখানকার বর্তমান মেয়র মাইকেল গুরুবের এই বিষাক্ত নামটি পরিবর্তনের কথাও ভাবছেন। কারণ এই নামের যা ভয়ঙ্কর পরিণতি তা তাদের চিন্তার অতীত। অন্তত তেমনটাই দাবি এ এফ পির সূত্রের । এখনো করোনার তান্ডবে ৭, ৩৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছে , মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। তবে আপাতত এই বিশ্বব্যাপী অতিমারীর প্রকোপ এড়াতে প্রশাসন ততপর হলেও করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সেনাকেও নামাতে হয়েছে সে দেশে। খাদ্যের যোগান, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা সমস্ত সামলাচ্ছে সেনা। কিন্তু বিশ্বের ত্রাস হলেও এই করোনার অস্তিত্ব আজ সংকটে।এখন এই ভয়াবহতা থেকে কতটা তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে এবং দীর্ঘদিনের এই নামের পরিবর্তন কতটা বাস্তবায়িত করতে পারে তাই শুধু সময়ের অপেক্ষা ।