বলছি উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের ছোট্ট গ্রাম ঝান্ডির কথা। এখানে বাসিন্দারা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে বিকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছেন এক ভেষজ ‘স্যানিটাইজার’। তবে এই অভ্যাস তাদের আজকের নয়। বহু আগে থেকেই তারা ব্যবহার করেন এক ধরণের পাতা। কিন্তু সত্যিই কি এমন ক্ষমতা রয়েছে এই গাছের?সেই সন্ধান দেব আজ।
এই গ্রামেই আছে 'টিতেপাতি' নামের একটি গাছ, যার পাতার রস থেকে তৈরী হচ্ছে স্যানিটাইজার। গবেষকদের মতে, আর্টেমিসিয়া নামের এই গাছের পাতায় বেশ কিছু রাসায়নিক উপাদান এবং ভেষজ তেল থাকায় এর ঝাঁঝালো গন্ধে মশা-মাছি, এমনকি বিষাক্ত নানা পোকামাকড় কাছে ঘেঁষে না। মূলত এই কীট-পতঙ্গদের থেকে বাঁচতেই বহুযুগ আগে থেকে গ্রামের বাসিন্দারা ব্যবহার করেন এই টিতেপাতি গাছের পাতা। কিন্তু তা করোনা প্রতিরোধক এমন প্রমাণ না মিললেও ভেষজ স্যানিটাইজারের ব্যবহার করেই এখন সম্পূর্ণ করোনামুক্ত উত্তরবঙ্গের এই গ্রাম। রাসায়নিকের সাইড এফেক্ট থেকে বাঁচতে এমন ভেষজ উপাদান নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে করোনা প্রতিরোধে এই গাছের ভূমিকা এখনো গবেষণাধীন, তবে রেজাল্ট সদর্থক হলে এর থেকে ভালো সুরক্ষার মাধ্যম পাওয়া হবে ভার। অপেক্ষা শুধু সময়ের।