হাইব্রিড ভুট্টার চাষ

এবার হাইব্রিড ভুট্টার চাষ করে সাড়া ফেলছে নদীয়ার কৃষকেরা| সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে যে এবার নদীয়ার তেহট্ট ও কৃষ্ণনগর ১ ও ২ ব্লকে ধানচাষ ছেড়ে ওই অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে বেড়েছে ভুট্টা চাষের প্রবণতা| ফলে এতে লাভবান হচ্ছে তারা। নদীয়ার উক্ত অঞ্চলের কৃষককুল হাইব্রিড ভুট্টার বীজ চাষ করে উপকৃত হচ্ছেন| অন্যদিকে বিজের গুণগত মান পরীক্ষা করে রাজ্য কৃষি দপ্তরের তরফে কৃষকদের দেওয়া হবে সংশাপত্রও| সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে যে প্রতিবছর পাঁচ হাজার টন ভুট্টার বীজ প্রয়োজন হয় যার বেশিরভাগটাই সরবরাহ করে থাকে বেসরকারী সংস্থা|  সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি ভুট্টার বীজ উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, তাহলে সেগুলি বাইরে বিক্রি করার সম্ভবনাও থাকে| বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ও রাজ্যের তরফে শুরু হয়েছে জমি পরীক্ষা| সঠিক পদ্ধতিতে তা সম্পন্ন করে ভুট্টাগুলো প্যাকেটজাত করে বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে|

শুধুই ভুট্টা নয় এর পাশাপাশি নদীয়ার কুলগাছির কৃষকেরা শুরু করেছেন সূর্যমুখী, কলাই, মুসুর, সর্ষে ইত্যাদির চাষ| বিঘার পর বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধান চাষ করা হত, তবে সেক্ষেত্রে অনেকক্ষেত্রেই লাভ হচ্ছিল না তাই এই রকম প্রচেষ্টা। হাই ব্রীড ভুট্টার বীজ উৎপাদনের জন্য মূলত রবি মরশুমকেই বেছে নেন| ভুট্টার জমিতে সার প্রয়োগ যেহেতু মোটামুটি ভাবেই করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আলাদা করে আর কোনো সার প্রয়োগের প্রয়োজন পড়েনা| ভুট্টার জমিতে বীজ তোলার আগে পাটের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তীকালে ভুট্টার রসেই পাটের অংকুরোদগম হয়| ভুট্টায় ৬-৭টী সেচ দিতে হয়| ভুট্টা কেটে যেহেতু পাট লাগাতে সময় চলে যায় সেক্ষেত্রে পাট বীজ আগে ছড়ালে সেই সময় লাগে না| সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে যে কৃষকদের মতানুযায়ী ধান বিক্রি করে লাভ হয় ১০-১২হাজার টাকা খরচও সমান হয় সেখানে ভুট্টা চাষ করতে খরচ পড়ে আট দশ হাজার টাকা কিন্তু লাভের পরিমান বেশি, লাভ হয় প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা মতন| সুতরাং এসব কারণকে নজরবন্দী করেই রাজ্যের নদিয়া জেলার কৃষকদের মধ্যে বাড়ছে হাইব্রিড ভুট্টা চাষের প্রবণতা|

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...