স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকলেও রকমারি খাবার আজও মানুষকে আকৃষ্ট চলেছে। আর তা যদি হয় চপ - মুড়ি , ব্যাস ! তাহলে সেই খাওয়ার মজাই আলাদা। আশ্চর্য ব্যাপার এই স্বাদ আপনি রেস্তোরার স্বাদে পাবেন না। কিন্তু যে তেলে ওই লোভনীয় চপ ভাজা হচ্ছে তা কি আদৌ স্বাস্থ্য সম্মত ??? না নয়। একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে একই তেলে রোজ ভাজতে ভাজতে সেই তেল এক্কেবারে কালো হয়ে গেছে। কিন্তু রোজ রোজ এতো তেল ফেলে দেওয়া সে কি সম্ভব ?? এখন সেই তেল ফেলে না দিয়ে তার পুনর্ব্যবহারের রাস্তা দেখাচ্ছে রুকো। সে কে ? আজ সেই কথাই জানাবো।
একবার রান্না করার পর সেই তেল কিন্তু আর খাদ্যগুনমান সম্পন্ন থাকে না। তাতে জমতে থাকে বিভিন্ন ভারী ধাতু। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক। এমনকি তা মাটিতে বা অন্যত্র ফেললে অনুজীবদের নানা ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এই বর্জ্য তেল বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে যে ব্যবহার করা যেতে পারে তেমন পরিকল্পনা কি করেছে কেউ ? ভেবেছেন - খোদ এক ভারতীয় তেল সংস্থা -ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন। আর এই বিকল্প পথটি হলো এই তেলের ব্যবহার হবে এবার গাড়ি চালাতে।
বিষয়টা আশ্চর্যের !! ঠিক তাই। রান্না করা তেল থেকে চলবে গাড়ি। এমনই অভিনব প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন।কোম্পানির কর্ণধার ডি এল প্রমোধ জানিয়েছেন আর কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবে কোম্পানির নতুন উদ্যোগ রুকো বা রিপারপাস ইউজড কুকিং। আর এই সাধু উদ্যোগে ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে কর্নাটকের বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট। খুব তাড়াতাড়ি দেশের নানা প্রান্তের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থেকে তেল সংগ্রহ করবে কোম্পানি। তারপর সেই তেল প্রক্রিয়াকরণ করে করা হবে বায়োডিজেল।
পরিবেশ রক্ষায় জীবাশ্ম জ্বালানির নানা বিকল্প খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে প্রতিদিনের ফেলে দেওয়া তেল থেকে এমন আবিষ্কার ! অকল্পনীয়। পরিবেশ রক্ষায় এই জ্বালানি অদূর ভবিষ্যতে ঠিক কতটা সফল হবে তা সময়ই বলবে। তবে এই ধরণের বিকল্প জ্বালানির পরিকল্পনায় খোদ এক তেল প্রস্তুতকারী সংস্থার অগ্রণী ভূমিকা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।