সময় এখন আসন্ন ভোটের দোরগোড়ায়। ভোটার হিসেবে সার্বিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা তাই নির্বাচন কমিশনের। ভোট দেওয়া থেকে যেন কেউ বাদ না পড়ে তা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রচারকার্য চালাচ্ছে কমিশন। সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর সেনা-জওয়ানদেরও বর্তমান ভোটে অংশগ্রহণ করাতে এবারে উদ্যোগী হল তারা।
ভোট চলাকালীন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দানে ব্যস্ত থাকে সুরক্ষা বাহিনী। ফলে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সুযোগ থাকেনা তাদের। দায়িত্বগত কারণে এবং অন্যত্র পোস্টিং হবার জন্য সেনা-জওয়ানদের ভোটে অংশগ্রহণের প্রবণতা থাকে না। এবারে তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে দেশের সেনা ক্যান্টনমেন্ট গুলোতে ভোটদানে উৎসাহী করবার জন্য। এই বার্তা ইতিমধ্যেই নয়া দিল্লি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে পৌঁছে গেছে ক্যান্টনমেন্টের দায়িত্বরত কমান্ডিং অফিসারদের হাতে। প্রতিবারের মত আউটস্টেশন জওয়ানদের সুযোগ থাকবে 'সার্ভিস ভোট' দেওয়ার। পাশাপাশি যারা ছুটিতে থাকবেন তারা সাধারণ নাগরিকের মতোই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
সেনাদের ভোট প্রদানে উপস্থিতি না থাকার কারন জানিয়ে প্রাক্তন উপসেনা প্রধান সুব্রত সাহা জানান, সেনাদের প্রাত্যহিক জীবন এত কঠিন যে সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চর্চা করার সুযোগ তাদের সীমিত। অনেকেই তাদের নিজ ভোট প্রদান স্থানের প্রার্থী সম্পর্কেই অবহিত থাকেননা। দেশে সুরক্ষার কাজেই যারা সবসময় নিবেদিত, তাদের কাছেই শেষ কথা সেটাই। সার্ভিস ভোটার হয়ে ভোট প্রদান করলে তা পোস্টাল ব্যালেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা সহজ নয়। ফলে ইচ্ছে থাকলেও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হয় জওয়ানদের। এই কথা মাথায় রেখেই সেনা-জওয়ানদের ভোট দানের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন কর্তৃপক্ষ।
ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার কাজে দায়িত্বরত থাকলেও ভোট দিতে পারবেন সেনা-জওয়ানরা। তার জন্য সার্ভিস ভোটার হয়ে রেজিস্টার করতে হবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। এ ক্ষেত্রে সেনাদের জন্য, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য দু'টি ভিন্ন ফর্ম ভরতে হবে। জওয়ানরা এই ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন কমান্ডিং অফিসারদের থেকে। ফর্ম পূরণ করে করে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে পৌঁছে দেবেন তারা। সিলবদ্ধ হয়ে তা চলে যাবে রিটার্নিং অফিসারদের হাতে। ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন সেনা-জওয়ানদের পরিবারের সদস্যরা।