আমরা খুব ব্যস্ত আজ। কারোর জন্য কারো সময় নেই। মুঠোফোনে বন্দি হয়েছে জীবন। কেরিয়ার, সংসার, সন্তান নিয়ে চিন্তার নেই অন্ত। দিনের শেষে একটু গল্প-হাসি-মজারও দরকার আছে। কথাটা জানে সবাই। কিন্তু উপায় বের করতে পারে ক’জন? পেরেছে ‘একটু ফোড়ন’। চার বন্ধু মানে অভিনেতা জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালক মানস বসু ও তাঁদের দুই অভিন্নহৃদয় বন্ধু দেবব্রত সামন্ত এবং উত্তম কুমার দাস মিলে গড়ে তুলেছিলেন প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্যান্টাসম্যাগোরিয়া ফিল্মস’। আবার তাঁরাই খুলেছেন নতুন ইউটিউব চ্যানেল ‘একটু ফোড়ন’। ফোড়ন ছাড়া যেমন রান্না জমে না তেমনি জীবনেও চাই ফোড়নের উপস্থিতি। তাই চ্যানেলের নামও অনেক ভেবেচিন্তে রাখা হয়েছে ‘একটু ফোড়ন’। নানা ধরনের শো-এর পাশাপাশি ‘আমি দেশভক্ত’ নামেও একটি শো রাখা হয়েছে ‘একটু ফোড়ন’-এ। চ্যানেলের প্রতিনিধি ঘুরছেন বিভিন্ন এলাকায়। খুঁজে নিচ্ছেন খাঁটি দেশভক্তদের। সহজ প্রশ্নে কুপোকাত করছেন দেশভক্তদের। কেউ বলতে পারছেন না জাতীয় পতাকার তিনটি রঙের নাম, কেউ বা ভুলে গেছেন বন্দেমাতরম গানের রচয়িতা কে? অনেকে জানেনই না অশোকচক্রের রং কী! অনেকেই জানেন না জাতীয় পতাকার রঙের বিশ্লেষণ! জাতীয় পশু, পাখী, ফুলের নাম জিজ্ঞেস করলেও খাবি খাচ্ছেন অনেকে! কেউ বা ভুলভাল গাইছেন জাতীয় সঙ্গীত। কেউ বা আবার সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে করছেন বাজিমাত। এদের সকলকে নিয়েই ‘আমি দেশভক্ত’ জমে উঠেছে ‘একটু ফোড়ন’-এ।
জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- “আমরা নিজেদেরকে সবাই দেশভক্ত মনে করি। দেশ নিয়ে কত না কথা বলি বড় বড়! ১৫ অগাস্ট, ২৬ জানুয়ারি সেই সব দেশভক্তদের দেওয়াললিখনে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। এবার তাঁদের কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছে একটু ফোড়ন। বেশ মজাদার শো টা। কেউ সঠিক উত্তর জেনেও নার্ভাস হয়ে গিয়ে দিচ্ছেন ভুল উত্তর। কেউ বা না জেনেই ঢিল মারছেন। সবমিলিয়ে বেশ মজাদার এই শো।”