রংবেরঙের ফিকশন আর ননফিকশনে দর্শকের মনোরঞ্জন করার পাশাপাশি বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান সমাজ সেবামূলক কাজে ব্যস্ত থাকে কালারস বাংলা চ্যানেল। আর এবার এই চ্যানেল সম্পর্ক গড়ল হোপ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। এই এন জি ও টির একটি শাখার নাম 'আশার আলো'। সেখানে ১২-১৮ বছরের মেয়েদের বসবাস। ওখানেই হেসে-খেলে কাটছে ওদের জীবন। এই হোমের হাতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তুলে দিল কালারস বাংলা। আর সেগুলি তাদের হাতে তুলে দিতে হাজির ছিলেন চ্যানেলের তিনটি ধারাবাহিকের তিন শক্তিশালী নারী চরিত্র- জাহানারা, শ্রুতি এবং ঝিনুক। অর্থাৎ শ্বেতা মিশ্র, রোশনি ভট্টাচার্য এবং কোশাম্বি চক্রবর্তী। জাহানারা একজন আইনজীবী, ঝিনুক মহিলা ফৌজি আর শ্রুতি অ্যাসিড আক্রান্ত এক লড়াকু মেয়ে। প্রত্যেকটি চরিত্রই নারী শক্তিকে উজ্জীবিত করার জন্য তৈরি হয়েছে। অভিনেত্রীরা এদিন প্রত্যেকেই নিজেদের চরিত্রগুলিকে হোমের মেয়েদের সামনে তুলে ধরেন। তুলে ধরার একটাই কারণ, ওদের মনে সাহস আর আত্মবিশ্বাস আরও একটু বাড়িয়ে দেওয়া। ওরা বড় হয়ে কে কী হতে চায় তাও একে একে জেনে নেন অভিনেত্রীরা।
রোশনি, কোশাম্বি এবং শ্বেতার সামনে নিজেদের ডান্স পারফরম্যান্স দেখায় হোমের মেয়েরা। নিজেদের হাতে শিল্পকর্মও ওরা তুলে দেয় অভিনেত্রীদের হাতে। উভয়পক্ষই সেদিন ভেসেছিল খুশির জোয়ারে। সবশেষে কালারস বাংলা চ্যানেলের এই শিল্পকর্মকে সাধুবাদ দিতেই হয়। আগামী দিনেও মানুষের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি তারা এহেন আরও অনেক কাজে নিজেদের লিপ্ত রাখবে বলে জানানো হয় চ্যানেলের তরফে।