চলে গেল 'কলারওয়ালী'। মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ জাতীয় দিন এই বাঘনীকে চেনে না একরকম মানুষ খুবই কমই আছে। সাত বার গর্ভবতী হয়েছেন এই বাঘিনী। মোট ২৯টি শাবকের জননী। সেই থেকেই এই বাঘিনী জঙ্গলের ‘সুপার মম’। ২০০৮ সালে মে মাসে প্রথম তিন সন্তানের জন্ম দেয় এই বাঘিনী। কিন্তু প্রায় একমাসের মধ্যেই ঐ তিন জন শাবকের মৃত্যু হয়েছিল।
সেই বছরেই অক্টোবর মাসে আবার গর্ভবতী হয়েছিল ঐ বাঘিনী। তবে সবার কাছে 'কলারওয়ালি' নামে পরিচিত হলেও বন দফতরে টি-১৫ নামেই পরিচিত ছিল। 'কলারওয়ালি' নাম হওয়ার পিছনে কারণ আছে। তার গলায় একটি কলার বাঁধা থাকত সেই সুবাদে পর্যটকরা 'কলারওয়ালী' নাম দিয়ে ছিলেন তাকে।
এই ‘সুপার মম’ ছিল প্রাণী বিজ্ঞানীদের বিস্ময়। গবেষণার কাজেই নিয়মিত ট্র্যাক করা হত তাকে। এক সঙ্গে পাঁচ শাবকের জন্ম বাঘিনীদের মধ্যে সচারচর দেখা যায় না। ২০১৮’র ডিসেম্বরে শেষবার মা হয় কলারওয়ালী। সেবার চারটি শাবকের জন্ম দেয় সে।
বার্ধ্যকের কারণে দূর্বল হয়ে পড়ে সে। গত ১৪ জানুয়ারি একটি নালার সামনে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তারপর তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে হয়েছিল সেখানেই তাকে মৃত্যু হয়ে এই বাঘিনীর।
মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা জানতে সৎকার করা হয়েছে ঐ বাঘিনীর। বন দফতরের কর্মী থেকে শুরু স্থায়ী মানুষ প্রত্যকেই তাকে মালা দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন। সাধারণত একটি বাঘ বাঁচে ১২ বছর কিন্তু 'কলারওয়ালি'-র ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম এখানেই। ১৬ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিল এই জনপ্রিয় বাঘিনী।