প্রবল শীতে কাঁপছে হিমাচল প্রদেশ| পুরু বরফের আস্তরনে ঢেকে গিয়েছে পথঘাট| আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা লাহুল ও স্পিতির প্রধান শহর কাইলং-এ তাপমাত্রা মাইনাস ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডালহৌসি ও সিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪.৮ এবং ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও বরফ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পর্যটকরা| কল্পায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৭.৪ ডিগ্রি, মানালিতে মাইনাস ৩.৮ ডিগ্রি ও কুফরিতে মাইনাস ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস| পুরু সাদা বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে রাস্তাঘাট|
সোমবার হিমাচল প্রদেশের মানালি-সোলান-নাল্লা রুটে রাস্তার দু-পাশে অত্যাধিক পরিমাণে বরফ জমে থাকার কারণেই গাড়ির গতি শ্লথ হয়েছে।হিমাচলে অনেক জায়গার ন্যূনতম তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরই মধ্যে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি তুষারপাত ও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস| সিমলা আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মনমোহন সিং বলেন, শৈত্য প্রবাহের জেরে শীত আরো তীব্র হয়েছে| সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি নেমে গেছে এবং সর্বাধিক তাপমাত্রা গড়ে ১ থেকে ২ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে| উনাতেই একমাত্র তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ওপরে রয়েছে| এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমাচল প্রদেশ জুড়ে শৈত্য প্রবাহ পরিস্থিতি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে|বরফে রুদ্ধ হয়ে পড়েছে লাহুল স্পিতি সহ একাধিক এলাকা|অবরুদ্ধ স্বাভাবিক জনজীবন| ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না সাধারণ মানুষ| তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে সেনাবাহিনীর চপার| এয়ার লিফ্ট করে বরফে আটকে পড়া সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন সেনা জওয়ানরা|