আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্য পরিবহন দফতর শহরে সিএনজি বাস চালানোর পরিকল্পনা করছে। শুক্রবার একটি বৈঠকে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, দক্ষিণ কলকাতার কসবা বাস ডিপোতে একটি ফুয়েল স্টেশন গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও আরও ৭০টি ইলেকট্রিক বাস নামানো হবে শহরের রাস্তায়, যার ফলে ২০২০ সালে মোট ১৫০টি ইলেকট্রিক বাস চলবে শহরে।
পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, রাজ্য পরিবহন দফতর থেকে ১০টি সিএনজি বাস চালানো হবে সামনের বছরের মার্চ মাস থেকে। এই প্রকল্পের জন্য কসবায় একটি রিফিলিং স্টেশন চালু করা হবে। এছাড়াও ‘গেইল’-এর সঙ্গে রাজ্যের চুক্তি হচ্ছে, যাতে তারা সিএনজি গ্যাস ট্যাংকারের মাধ্যমে ফুয়েল স্টেশনে রিফিলিং করতে পারে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এরকম আরও পরিবেশ বান্ধব বাস চালানোর কথা ভাবছে পরিবহন দফতর। কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর সংস্থা রাজ্যে পরিশুদ্ধ জ্বালানির জন্য পাইপলাইন বানানোর কাজ শুরু করবে এবং প্রাইভেট একটি সংস্থা সিএনজি টার্মিনাল গড়ে সেই পরিশুদ্ধ গ্যাসকে কম্প্রেস ফর্ম-এ রূপান্তর করার কাজ করবে।
উল্লেখ্য, 'গেইল'(জিএআইএল) ২৮০ কিমি পাইপলাইন বসানোর জন্য ৪৭৫ কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে। এই লাইনটি দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া অব্দি যুক্ত হবে, যা কলকাতাকেও সংযুক্ত করবে। এর আগে আসানসোল এবং দুর্গাপুরে রাজ্য সরকার সিএনজি বাস চালিয়েছে। এসপ্ল্যানেট এবং সল্ট লেকের করুণাময়ী স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি বাস আসানসোল এবং দুর্গাপুরে যাতায়াত করেছে। কিন্তু এই প্রথম শহরের বুকে সিএনজি বাস চলবে। পরিবহনমন্ত্রী জানান, শেষ আর্থিক বছরে তাঁর দফতর ২,৫০০ কোটি টাকা আয় করেছে। ২০১৬ সালে এই আয়ের পরিমান ছিল ১,৭০০কোটি টাকা এবং ২০১১ সালে তা ছিল ৯০০ কোটি টাকা। বর্তমান আর্থিক বছরে পরিবহন দফতর ৩০০০ কোটা টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। শুভেন্দুবাবু আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন-এর অধীনে কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ২৪ পরগণার নদিয়ার রানাঘাট অব্দি বিভিন্ন রুটের বাসে মোট ৬ থেকে ৮ লক্ষ যাত্রী রোজ যাতায়াত করেন। ২০১১ সালে এই সংখ্যাটি ২ লাখেরও কম ছিল। যার থেকে জানা যায়, বর্তমান সরকারের আমলে মানুষ পরিষেবা ভালো পাচ্ছেন বলেই বাসে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।