প্লাস্টিকের ছাউনি বন্ধ হবার পর, হকারদের ছাউনি দেবার নতুন মাধ্যম কাপড় এবং থার্মোকল। ফুটপাথ ঘুরলে তাই এখন প্লাস্টিকের বদলে কাপড় বা থার্মোকলের তৈরী ছাউনি চোখে পড়ছে। কিন্তু কাপড় বা থার্মোকল যে দাহ্যহীন তেমনটাও নয়, এ বিষয়ে কতটা সতর্ক থাকছেন হকাররা।
সম্প্রতি গড়িয়াহাট অগ্নিকাণ্ডের পর প্লাস্টিক ছাউনি রোধ করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এখানকার হকারদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে চাকা লাগানো গাড়ির। এই গাড়ি বিতরণও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। এই চাকা লাগানো গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে শহরের অন্যান্য প্রান্তের হকারদের জন্য। তবে এই মুহূর্তে প্লাস্টিকের বদলে হকারদের ছাউনি দেবার বিকল্প হিসেবে কাপড় আর থার্মোকল ছাড়া আর কোন মাধ্যম নেই বলে জানায় হকাররা।
হাতিবাগান মার্কেটে এখন প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া ছোট ছোট দোকানের সারি চোখে না পড়লেও বড় রাস্তার ৫০ ফুট পর্যন্ত জায়গা ছেড়ে দেননি হকাররা। তাদের কাছে রাস্তা ছেড়ে দেবার কোন ঘোষণা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। কেবল প্লাস্টিকের ছাউনি ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। ধর্মতলার মার্কেটে যদিও এখনো তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। সামান্য কিছু দোকানে প্লাস্টিক খুলে কাপড়ের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যান্ড বা বড় রাস্তা থেকে সরে যাওয়া সংক্রান্ত কোন আইনি নোটিশ পাননি বলে জানান এখানকার হকাররা। গড়িয়াহাট মার্কেটে ইতিমধ্যে বড় রাস্তা থেকে ৫০ ফুট জায়গা ছেড়ে ব্যবসা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে হকাররা। কিন্তু প্লাস্টিকের বদলে কিসের ছাউনি ব্যবহার করা হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা না থাকায় বেশির ভাগ দোকানেই কাপড়ের ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দেখা যায়। এখানকার হকারদের অনেকেই অপেক্ষা করছেন চাকা লাগানো গাড়ির জন্য। ততদিন অব্দি কাপড়ের ছাউনিই ভরসা বলে জানান তারা ।
প্লাস্টিকের বদলে বিনামূল্যে ছাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে হকারদের বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মেয়র এবং হকারদের সম্মিলিত বৈঠকে। এ ছাড়াও শহরের বড় রাস্তাগুলো কাছে হকারদের ব্যবসা করবার জন্য ৫৮ টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মোড় থেকে ৫০ ফুটের মত জায়গা ফাঁক রেখে বসতে হবে তাদের। যে রাস্তায় গাড়ি চলাচল করবে সে রাস্তায় হকারি নিষিদ্ধ। রাস্তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ ছেড়ে ব্যবসা করতে হবে। ফ্লোটিং মার্কেট -এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে ফুট ওভারব্রিজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।