অক্সফোর্ড অভিধানের শব্দ তালিকাতেও প্রভাব ফেলল জলবায়ু সংকট। এ বছর ‘ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে উঠে এল ‘ক্লাইমেট এমার্জেন্সি’ শব্দটি।
পৃথিবী জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট নিয়ে চর্চার কারণে বছরের সব থেকে চর্চিত শব্দ হিসেবে অক্সফোর্ডের শব্দ তালিকায় উঠে এসেছে এই শব্দটি।
২০১৯ এর ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ডাটা’ বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতিটি মহাদেশে ক্লাইমেট এমার্জেন্সি’ এই শব্দটির ব্যবহার অভূতপূর্বভাবে বেড়েছে সারা বছর ধরে।
অক্সফোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শব্দের ব্যবহার প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ১০,৭০০ শতাংশ বেশি উচ্চারিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্ব জুড়ে ১৫০ টি দেশের প্রায় ১১ হাজার বিজ্ঞানী এবং গবেষক সরকারীভাবে ঘোষণা করেছেন নীল গ্রহে জলবায়ুর বিপদ এতটাই বিপজ্জনক দিকে মোড় নিয়েছে যে তা জরুরী অবস্থার সামিল।
বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অ্যান্ডিজ, মধ্য ইউরোপ এবং উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইপিসিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে ২১০০ সাল নাগাদ সাগর-পৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। আগের চেয়ে এই উচ্চতা ১০ সেমি বেশি।
অক্সফোর্ড অভিধানের তালিকায় ‘ক্লাইমেট- অ্যাকশন’, ‘ইকো- অ্যাংজাইটি’, ‘ফ্লাইট-শেম’- এর মতো আরও বেশ কিছু পরিবেশ সংক্রান্ত শব্দ ছিল। তার মধ্যে থেকে সর্বাধিক চর্চিত এবং ব্যবহৃত শব্দ ‘ক্লাইমেট এমার্জেন্সি’।
‘ক্লাইমেট এমার্জেন্সি’ শব্দটির ব্যখ্যা হিসেবে বলা হয়েছে, “a situation in which urgent action is required to reduce or halt climate change and avoid potentially irreversible environmental damage resulting from it”.
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে একটি মাত্র শব্দকেই বেছে নেওয়া হয় ‘ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে?
শব্দের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আবেগ বা মুড- এর মাধ্যমে সারা বছরের সংস্কৃতি বোঝা যায়। সারা পৃথিবীর চর্চা বা অনুভূতির আয়না হয়ে ওঠে শব্দ। এভাবেই বিগত বছরগুলিতে ‘টক্সিক’ ‘ইয়ুথকোয়েক’, ‘পোস্ট- ট্রুথ’- এর মতো শব্দ উঠে এসেছিল তালিকায়।