নিখোঁজ সারমেয়র থানায় আসা নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া

পোষ্য রাখার যেমন একটা সুবিধা আছে, যে সময় খুব ভালোভাবে কেটে যায় সেইরকমই আবার সমস্যাও রয়েছে| পোষ্যের যত্ন, তাকে সবসময় চোখে চোখে রাখা, তার খাওয়াদাওয়ার খোঁজ রাখা প্রভৃতির জন্যও বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় পোষ্যের মালিককে| আর পোষ্য যদি দুষ্টু হয় তাহলে তো কথাই নেই| সবসময়েই তার উপর কড়া নজর রাখতে হয় মালিককে| চোখ সরালেই পোষ্য ধাঁ.......

পোষ্য হারিয়ে গেলে তাকে খুঁজে বের করা বেশ কষ্টকর বেপার কারণ পোষ্যকে ভালোবেসে অনেকেই উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে| সেইক্ষেত্রে পোষ্যের মায়া ত্যাগ করা ছাড়া উপায় থাকে না| কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে পোষ্যের নিখোঁজ ডায়রি করলে ফল পাওয়া যায়| এসব তো গেল মালিকের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে বলা কিছু কথা| কিন্তু পোষ্যের কথা ভাবুন তো! যেই পোষ্যটি হারিয়ে গেছে তার মনের অবস্থা কিকরম? অবলা হওয়ার কারণে সে তো আর থানায় গিয়ে মালিকের জন্য নিখোঁজ ডায়রি করতে পারে না| হ্যা, এটাই আমাদের প্রচলিত ধারণা| কিন্তু একটি সাম্প্রতিক ঘটনা নাড়া দিয়েছে গোটা বিশ্বকে| সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, চিকো নামক এক সারমেয় টেক্সান পুলিশ স্টেশনে নিজের নিজের নিখোঁজ ডায়রি করতে হাজির হয়েছে| ওডেসা পুলিশ স্টেশনে ঢুকেই সেই সারমেয় সোজা গিয়ে তার আদুরে হাত বাড়ায় একজন পদস্থ অফিসারের দিকে| পুলিশ সার্জেন্ট রাষ্টি মার্টিন জানিয়েছে, চিকোর সাথে হাত মেলাতে পেরে তিনি যারপরনাই খুশি| সারমেয়কে থানা চত্বরে পেয়ে তার সাথে খেলায় মাতেন বহু পুলিশকর্মী| প্রাথমিক উত্তেজনা কাটলে পুলিশকর্মীরা চিকোর বাড়ি খুঁজতে উঠেপড়ে লাগে| তারা জানিয়েছেন, চিকো যখন এসেছিল তার গলায় একটি কলার লাগানো ছিল কিন্তু আইডি ট্যাগটি তার আগেই খুলে পড়ে গেছিল|অ্যানিম্যাল কন্ট্রোল থেকে কর্মীরা এসে চিকোর শরীরে মাইক্রোচিপের সন্ধান করে| কিন্তু চিকোর শরীরে কোনো মাইক্রোচিপের সন্ধানও পাওয়া যায়নি| এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চিকোর নামে একটি অ্যাড দেওয়া হয়| যে থানায় চিকো গেছিল সেখানকার সকল পুলিশকর্মীর আশা চিকো যেন খুব তাড়াতাড়ি নিজের বাড়ি খুঁজে পায়|তার আগে পর্যন্ত যদি চিকো থানাতেই থাকে তাতেও পুলিশকর্মীদের কোনো অসুবিধা নেই বলেই জানিয়েছেন তারা|    

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...