মেলার থিম 'পরিচ্ছন্নতা'

আর কয়েকদিন বাকি। শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলাকে ঘিরে সারা বছরই পুণ্যার্থীদের অপেক্ষা থাকে। প্রশাসনও যথেষ্ট তৎপর থাকে মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মেলাকে কেন্দ্র করে। মেলার সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। যাতায়াত সুগম করার জন্যও নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। মেলা চত্ত্বর সহ সংলগ্ন এলাকা জুড়ে এখন চলছে অস্থায়ী কাঠামো, ব্যারিকেড তৈরির কাজ। রাস্তাঘাট সংস্কার, আলো লাগানো সহ আরো কাজ চলছে পুরোদমে।

     তবে এবারের মেলায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবারে মেলার থিম-ই নেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতা। গোটা মেলা চত্ত্বর ছেয়ে ফেলা হয়েছে ফ্লেক্সে। তাতে বাংলা এবং হিন্দিতে লেখা রয়েছে পরিচ্ছন্নতার কথা। বাংলাতে লেখা হয়েছে 'তীর্থ শুদ্ধায়ন', 'পরিচ্ছন্নতাই দেবানুগত্য'। হিন্দিতে লেখা হয়েছে, 'স্বচ্ছতা হি দেবভক্তি'। এই মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দিভাষী। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই হিন্দিতে লেখা হয়েছে। এখন থেকেই ৫০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবককে মেলা চত্ত্বর পরিছন্ন রাখার নজরদারিতে নিয়োগ করা হয়েছে। ১০ জন কাজ করছেন সাগর সৈকতে। মেলা যত এগিয়ে আসবে, স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যাও তত বাড়বে। ১১০ দিনের কাজের প্রকল্পে নথিভুক্ত মহিলা শ্রমিকদেরও কাজে নামানো হয়েছে। তারা বিচ পরিষ্কারের কাজ করবেন। এবারে পৌষ মাস পড়তে পড়তেই তীর্থযাত্রীদের আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখনই ১০-১৫ হাজার তীর্থযাত্রী এসে গিয়েছেন। আসলে এবারে কুম্ভ মেলা হচ্ছে, ফলে অনেক তীর্থযাত্রী আগাম গঙ্গাসাগরে স্নান করে কুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সাগরের বিধায়ক তথা সাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান বঙ্কিম হাজরা মনে করছেন, যেহেতু কুম্ভ মেলার পুণ্যস্নান ২৬ জানুয়ারি, তাই অনেকেই এখানে স্নান করে কুম্ভ মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। তবে যাই হোক না কেন, গঙ্গাসাগর এবারে যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে চলেছে এই আশা আমরা করতেই পারি।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...