লটারির টিকিট কিনে কোটিপতি সিভিককর্মী

অভাবের সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে করতে স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে বসেছিল ফিরোজের| বাবা ও দাদা দুজনেই মারা যাওয়ায় দাদা ও নিজের সংসারের সব দায়িত্ব নিতে হয়েছিল তাঁকেই| দুটো সংসারের খরচ চালানোর জন্য ভরসা শুধু সিভিক কর্মীর চাকরির সামান্য আয়টুকু| খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা ছাড়াও একটা স্বপ্ন ছিল ফিরোজের| মাথার ওপর একটা পাকা ছাদ| এই সামন্য আয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় যেখানে সেই স্বপ্নও বাতুলতা| কিন্তু রবিবারের পর থেকে ফিরোজের সেই স্বপ্নও বাস্তব হতে চলেছে|

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিককর্মী ফিরোজ আলম লটারিতে জিতেছেন এক কোটি টাকা| ওইদিনই সকালে বন্ধুর দেখাদেখি ১৫০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কাটেন লটারির দোকান থেকে| কী ভাবে টিকিট মেলাতে হয় সেটুকুও জানতেন না তিনি |টিকিট কাটার অনেকক্ষন পর বন্ধুর ফোন পেয়ে টিকিট মিলিয়ে জানতে পারেন রাতারাতি এক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ফিরোজ| প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি| তাঁর টিকিট জেতার খবর চাউর হতেই তাঁর নিরাপত্তার জন্য সহকর্মীরাই চিন্তিত হয়ে পড়েন | পরে টিকিট থানায় জমা দিয়ে নিশ্চিন্ত হন ফিরোজ ও তাঁর সহকর্মীরা |

ফিরোজের কথায়, তার বাবার ইচ্ছা ছিল একটা পাকা বাড়ি করার। ওই টাকা দিয়ে আগে বাবার স্বপ্নপূরণ করবে সে| সামান্য আয়ের কারণে নিজের মেয়ে, দাদার মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল | সেই দুশ্চিন্তাও দূর হয়েছে ফিরোজের| বাবার শেষ স্বপ্ন পূরণ, নিজের মেয়ে, দাদার মেয়েকে পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে ভালভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তিনি। ফিরোজ ১ কোটি টাকা জেতায় খুশি তাঁর পরিবার ও সহকর্মীরা।

  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...