লকডাউন কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে চীন

লকডাউন কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে চীন

ধীরে ধীরে আবার পুরনো ছন্দে ফিরছে চীনের জীবন। করোনার কালো দিনের ছায়া থেকে বেরিয়ে নতুন আশায় দ্রুত জীবন শুরু করতে মরিয়া মানুষ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলো যখন করোনার আতঙ্কে ঘর বন্দি তখন বন্দিদশা কাটিয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। চীনের বেশ কয়েকটি শহরে আলগা করা হয়েছে লক ডাউনের শৃঙ্খল। গণ পরিবহন, প্রাইভেট গাড়ি চলতে শুরু করেছে। প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে ট্র্যাফিক হার। পরিস্থিতির বদল ঘটছে ধীরে ধীরে।

এতদিন ধরে থেমে থাকা কল কারখানার চাকা আবার সচল হয়েছে। কাজে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরা। বাড়ছে উপস্থিতির হার। চালু হয়েছে উৎপাদন ইউনিট।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে গত তিন মাস ধরে করোনা ভাইরাসের জেরে স্তব্ধ হয়েছিল জীবন। অর্থনীতিও তার কবলে। চীনা অর্থনীতি বিদরা বলছেন ঘুরে দাঁড়াবার নয়া লড়াই শুরু হল। ইউরোপ, আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, ভারত এর মতো করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। করোনা চিকিৎসা কিট তৈরি হচ্ছে চীনে। বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে তার চাহিদা।

চীনের সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উহান প্রদেশেও লক ডাউন উঠতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। অনলাইনে কেনাকাটার সাইটে মানুষ কেনাকাটাও শুরু করেছে আবার। এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনার জেরে গত দুমাস বন্ধ ছিল চীনের সমস্ত কল- কারখানা। থেমে ছিল শিল্প উৎপাদন। গত ২০ বছরে উৎপাদন সর্ব নিম্ন। তাই অর্থনীতির বুনিয়াদ আবার আগের জায়গায় নিয়ে যেতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে চীন।

ফোর্ড, টয়োটা, হন্ডা, ফিয়াটের মতো সংস্থাও তাদের কাজকর্মে ফিরেছে। কিন্তু বাকি বিশ্ব যতক্ষণ না করোনার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে ততক্ষণ সামগ্রিক ছবি বদলাবে না।
চীনের সংস্থা গুলি জানিয়েছে রপ্তানির বাজার ঘুরে দাঁড়ালে তবেই বদল আসবে অর্থনীতিতে। ইউরোপের বহু সংস্থাই ডেলিভারি, কাজের বরাত আটকে দিয়েছে লক ডাউনের জেরে। আমদানি রফতানি দুই বন্ধ। শিল্প বিনিয়োগ স্থগিত। বাকি দেশগুলির পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তবেই গতি ফিরবে অর্থনীতিতে। আপাতত তাই নিরাময়ের অপেক্ষাতে সকলেই।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...