ভারতের সাথে যে কয়টি দেশ সরাসরি আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভাগ করে তাদের মধ্যে অন্যতম হল চীন। এক বর্ডার শেয়ার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের দেশি বিদেশী পণ্যের অবাধ বিচরণ। চীন থেকে আসা পণ্যের দেশীয় চাহিদাও প্রচুর। এই সুযোগে এমন কিছু পণ্য দেশীয় বাজার ঢুকে পড়ছে যার ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ। এসব পণ্যের ভিতর অন্যতম প্যাকেটজাত দুগ্ধ। এ ছাড়াও দুগ্ধ জাত চকলেট বা অন্যান্য দুগ্ধ জাতীয় খাবার-এও রয়েছে আশঙ্কা ।
চীনের প্যাকেটজাত দুগ্ধ, দুগ্ধজাত চকোলেট এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবারের ভিতর পাওয়া গেছে মেলামাইন জাতীয় রাসায়নিক উপাদান। যা শরীরের জন্য বিষাক্ত। মেলামাইন সার ও প্লাস্টিক তৈরীতে ব্যবহৃত হয় যা মানব দেহে প্রবেশ করলে ক্যান্সার কারণ হতে পারে। এ ছাড়াও মাঝে মধ্যেই নকল ডিম্ বা চালের উৎপত্তি স্থান হিসেবে সোশআল মিডিয়ায় বহুবার উঠে এসেছে চীনের নাম। তাই তাতে রাশ টানতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। চীনের আর কোন বিষাক্ত পণ্য বাজারজাত হবে না ভারতীয় বাজারে। ২০০৮ সালে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর সময় সময় শিথিল করা হয় এই আজ্ঞা। আপাতত বাণিজ্যমন্ত্রক থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ২০১৯ এর ২৩ এপ্রিল অবধি বন্ধ থাকবে ভারতে পাঠানো এই পণ্যগুলি। চীনের অন্যতম বাজার ভারত। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে, ভারত-চীন সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে।