মধ্য ডিসেম্বর থেকেই করোনায় কাবু চিন। কোবিদ-১৯ এর ভয়ঙ্কর রূপ এই দেশেই সব চেয়ে প্রথমে দেখা দিয়েছিল। এই মুহুর্তে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চিনের উহান প্রদেশ এবং শহরে লকডাউন শিথিল করা হলেই প্রাণঘাতী করোনা ফের ফিরে আতঙ্ক থেকে মুক্ত হয়নি মানুষ।
তবে এর মধ্যেই এক চিলতে রূপালী রেখা দেখতে পেয়েছেন সে দেশের গবেষকরা। প্রথম দফায় ভ্যাকসিন ট্রায়াল সফল হওয়ার পর এবার মানব দেহে প্রয়োগের পথে হাঁটছেন তাঁরা। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রতিষেধক পরীক্ষার কাজ শুরু করার ব্যাপারে সরকারি সবুজ সঙ্কেতও মিলেছে।সূত্রের খবর অনুযায়ী বেজিং এর একটি বায়োটেক সংস্থা, উহান ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং সরকারি মেডিকেল সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ভ্যাকসিনের নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে।
চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন মানব দেহে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের বিষয়টিতে সম্মতি জানিয়েছে।
গত মার্চেই চিনে এক দফা ভ্যাকসিন ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার।
চিনে এখনও পর্যন্ত মোট তিনবার করোনার প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সরকারি অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। তবে এই ভ্যাকসিনগুলি মানবদেহে পরীক্ষা মূলক ভাবে প্রয়োগের পর কাঙ্খিত সাফল্য এলে আরও বেশি মাত্রায় তৈরি হবে কিনা বা আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র দেওয়া হবে কি সেই ভাবনার জায়গা এখনও তৈরি হয়নি।চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, অনেকগুলো ধাপ পার হতে হবে তারজন্য। চিনে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২,২৪৯। মৃত্যু হয়েছে ৩৩৪১ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোনও আক্রান্তের খবর নেই। ভ্যাকসিনের 'হিউম্যান ট্রায়াল'-এর জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছে ৫০০ জন।