বছর চব্বিশের মিথিলেশ প্রসাদ। বিহারের ছাপরা জেলার বাসিন্দা। পড়াশোনা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। কিন্তু মিথিলেশ আজ খবরের শিরোনামে। আস্ত একটা ন্যানোকে খোলনলচে বদলে রাতারাতি হেলিকপ্টার বানিয়ে দিয়েছেন মিথিলেশ। মিথিলেশের কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।
অবশ্য মিথিলেশ একা নন। এই বদলের খেলায় সাহায্য করেছিলেন তাঁর ভাই।
দেখতে অনেকটা হেলিকপ্টারের মতোই। হঠাৎ দেখলে যে কেউ ভাববে হেলিকপ্টার। গাড়ির মাথার ওপর হেলিকপ্টারের ধাঁচেই প্রোপলার। উঁচু লেজ। ছোট পাখা। সাইড প্যানেল থেকে রোটর। এলইডি লাইট। রাস্তা দিয়ে যখন দৌড়ায় চোখ ধাঁধিয়ে যায়। দেখে এতটুকু বোঝার উপায় নেই যে হেলিকপ্টার কার আসলে কী থেকে তৈরি?
সময় লেগেছে ৭ মাস। তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা । যদিও এই হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ে না। রাস্তা দিয়েই দৌড়ায়।
কিন্তু হঠাৎ ন্যানো বদলে হেলিকপ্টার বানাবার ইচ্ছে কেন হল?
সেই ইচ্ছের কথা বলতে গিয়ে মিথিলেশ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সবপ্ন দেখতেন নিজের হেলিকপ্টারের। কিন্তু বাড়ির যা আর্থিক অবস্থা তাতে সে স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। তাই হেলিকপ্টারের মতো গাড়ি বানাবার পরিকল্পনা করলাম। এই হেলিকপ্টার ওড়ে না। কিন্তু আমি যখন সিটে বসি মনে হয় হেলিকপ্টারেই আছি। আকাশে উড়ছি।’
মিথিলেশ জানিয়েছেন, একটা সত্যিকারের হেলিকপ্টার কিনতে যা খরচ হত, তার তুলনায় এই খরচ খুবই কম। তাঁর সাধ্যের মধ্যে।
সত্যি হেলিকপ্টার না থাকলেও মিথিলেশের নিজের উদভাবন করা ‘হেলিকপ্টার কার’ তাকে নিজের এলাকায় হিরোর গ্ল্যামার এনে দিয়েছে। সে যখন তার স্বপ্নের উড়ান নিয়ে রাস্তায় দৌড়ায় রাস্তায় লোক জমতে সময় নেয় না। মোবাইলে ভিডিও, সেলফিও নেওয়া চলে।
নিজের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব যে নিজেকেই নিতে হয় তাকে দেখে শিখবে মানুষ।