১ জুলাই থেকে টেলিভিশনের পর্দায় আসছে ছয় মাসের নতুন মেগা সিরিজ 'এক যে ছিল খোকা'। শিশু শ্রমের মতো এক জ্বলন্ত সমস্যাকে এবার মেগা সিরিজে নিয়ে আসছে এক বেসরকারি বিনোদন চ্যানেল। আমরা সকলেই শিশু শ্রমের তীব্র নিন্দা করি কিন্তু তা কী ভাবে বন্ধ করা যেতে পারে সেটা ভাবি না। 'এক যে আছে খোকা' ওই সব শিশু শ্রমিকদের কথা বলে। ওদের দলেরই একজন আশিক। সে খেটে খায়। কারো দয়া দাক্ষিণ্য সে চায় না।
গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে সেই আশিক। আশিক একজন শিশু শ্রমিক। তার চোখে আছে হরেক রকমের স্বপ্ন। সে ভালভাবে জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখে। তার আছে আরও তিন ভাই-বোন। বাবা বেলাল মারা যাওয়ার পর আশিক ও তার বোন সুফিয়ার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় নিদারুণ টানাটানির দিনযাপন। একরত্তি বয়সেই আশিককে খেটে খেতে শিখতে হয়। আশিকের আছে অনেক বন্ধু। তারাও আশিকের মতোই খেটে খাওয়া প্রতিনিধি। এই ছোটে ওস্তাদদের জীবনে আসে কোয়েল দিদি আর শ্যামস দাদা। কোয়েল আর শ্যামসের তত্বাবধানে আশিকরা কি ফিরে পাবে একটা সুন্দর গোছানো শৈশব? সময় সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে।
কোয়েল সম্ভ্রান্ত পরিবারের আদুরে মেয়ে। তবে সে বখে যায়নি। বাবার ভালবাসা আর প্রশ্রয় তাকে বেপরোয়া করে তোলেনি কখনও। তবে মেয়ের কিছু কিছু কাজ পছন্দ হয় না বাবার। তখন সে রেগে যায় ঠিকই পরে আবার মনকে বোঝায়। কোয়েল আসলে সমাজসেবী। পথশিশুদের পাশে দাঁড়ায় সে। আর এই কাজ করতে করতেই সে একটি এন জি ও'র সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্যামস কোয়েলের ছায়াসঙ্গী। ওদের সম্পর্কের রসায়ণও এই সিরিজের অন্যতম আরেকটি দিক।
আশিকের চরিত্রে দেখা যাবে প্রিয়াংশু দাসকে। সুফিয়ার চরিত্রে বৈশালী, শ্যামসের চরিত্রে রাজ ভট্টাচার্য, কোয়েলের চরিত্রে উজানি দাশগুপ্ত, কোয়েলের বাবার চরিত্রে রাণা মিত্র। এ ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন নীলাদ্রি লাহিড়ী, সুবান রায়, প্রিয়াংশু দাস, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়, ঐশানি দে, সোমজিতা ভট্টাচার্য, দেবশ্রী রায়, শুভম দত্ত সহ আরও অনেকে।
চ্যানেলের ছয় মাসের সিরিজের এটি পঞ্চম গল্প।
পরিচালক রবিন দাস সাংবাদিক সম্মেলনে জানান- "আইন প্রণয়ন করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। শিশুশ্রম তো নয়ই। এর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এই চ্যানেল শুধু বিনোদন দেয় না, সামাজিক বার্তা প্রেরণ করে মানুষের কাছে। 'এক যে ছিল খোকা' তেমনই একটি মেগা সিরিজ।"
খোকা নামটা সব বাঙালি পরিবারের সাধরণ একটি নাম। তাই এমন নামকরণ জানিয়েছেন পরিচালক রবিন দাস। এই গল্পে "হিন্দু-মুসলিম এক হও" জাতীয় কোনও বার্তা নেই। শিশু শ্রম বিষয়টিই প্রধান এখানে। শিশু শ্রম হিন্দু কিংবা মুসলিম যে কোনও পরিবারেই হতে পারে। ফলে গল্পের পটভূমিতে একটি মুসলিম পরিবারকে রাখার কারণটা নিতান্তই সাধারণ একটি বিষয়। এমন একটি বাড়িতে আশিকরা থাকে যেখানে হিন্দু পরিবারও থাকে। একদিকে আজানের সুর অন্য দিকে লক্ষ্মীর পাঁচালি --- সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেই বাড়িতে। এরই মাঝে আশিকদের বেড়ে ওঠা। ওদের জীবনযাত্রার কথা জানতে হলে দেখতে হবে - 'এক যে ছিল খোকা' সন্ধে সাড়ে ৭ টায়।