শুধুমাত্র বিধবা বিবাহ নয়, অসহায় বিধবাদের ভাতাও দিতেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। কলকাতার সংস্কৃত কলেজের সিন্দুক থেকে এ বিষয়ে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ নথি।
বিদ্যাসাগরের চালু করেছিলেন মুক্তাকেশী দেবী উইডো ফান্ড। সেখান থেকেই ২ টাকা হারে মাসিক ভাতা পেতেন বিধবা মহিলারা। আটজন বিধবা অর্থ প্রাপ্তি স্বীকার করার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে একটি খাতায়। সেখানে দুই বিধবা সই করে আর ছয়জন টিপ সই দিয়ে নিয়েছেন ওই অর্থ।
পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সিন্দুকে কী আছে, তা এত দিন অজ্ঞাতই ছিল কলকাতার সংস্কৃতি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনি এক সময় সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ছিলেন। পরে অধ্যক্ষও হয়েছিলেন।
সম্প্রতি ওই সিন্দুক ভাঙা হয়। চার ঘণ্টার চেষ্টায় ওই সিন্দুকের তালা ভাঙেন এক কারিগর। সিন্দুকে পাওয়া যায় প্রচুর ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ।
কলেজের দুটি সিন্দুক ছিল বিদ্যাসাগরের কাছে। বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পর ওই দুটি সিন্দুক আর কেউ খোলেননি। লন্ডনের চাবস কোম্পানির নির্মিত সিন্দুকের ঠাঁই হয় কলেজের গুদামে।
সিন্দুকে সিলগালা করা সাতটি খাম পাওয়া গেছে। এগুলো এখনো খোলা হয়নি। এগুলো দলিল দস্তাবেজ বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেওয়াল সিন্দুকে পাওয়া গেছে ৮৫টি পাসবই। এগুলো ডাকঘরের। ওই ডাকঘর থেকে দেওয়া হতো মেধা বৃত্তির টাকা। মিলেছে ১৮২৯ থেকে ১৮৩২ সালের ছাত্রদের হাজিরা খাতা। সেই হাজিরা খাতায় নাম পাওয়া গেছে বিদ্যাসাগরের। একটি খাতা মিলেছে যেখানে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি প্রাপকদের নামও রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামও