প্যারাঅলিম্পিকে সাফল্যের পর, ভারত দাবা অলিম্পিয়াড টুর্নামেন্টে অনবদ্য সাফল্য অর্জন করল। পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগেই সোনা এল ভারতের ঘরে। সারাবিশ্বের দাবার ইতিহাসে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করা তৃতীয় দেশ। এর আগে এই টুর্নামেন্টে ভারতের সবচেয়ে ভাল ফল ছিল ২০১৪ ও ২০২২ সালে, ওইবছর দুটি ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভারত৷
হাইলাইটসঃ
১। পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগেই সোনা জিতল ভারত
২। ভারতের এটা প্রথম গোল্ডেন ডবল
৩। লিওনেল মেসি ও রোহিত শর্মার স্টাইলে সেলিব্রেশন করল তাঁরা
গত রবিবার ভারত বুদাপেস্টে ৪৫তম ওপেন চেস ক্যাটাগরিতে দুটি সোনা জেতে। ওইদিন ওপেন চেসের ১১তম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে জিতেছে ভারত। ভারতের এটা প্রথম গোল্ডেন ডবল। এর পূর্বে ১৯৮৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এই ডাবল করেছিল৷ এরপর ২০১৮ সালে চিন, জর্জিয়ার বাতুমিতে সোনা জয়ের ডবল করেছিল৷
এই টুর্নামেন্টে পুরুষ দলে ডি. গুকেশ, আর. প্রজ্ঞানন্দ এবং অর্জুন এরিগাইসি তাঁদের গেম জেতেন, এছাড়া আর বিদিত গুজরাতি ড্র করেন। ফলে ভারত স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে ৩.৫-০.৫ জয় ছিনিয়ে নেয়, যা সম্ভাব্য ২২ এর মধ্যে ২১ পয়েন্ট। এছাড়াও পুরুষ দলের অন্য সদস্য পি. হরিকৃষ্ণ রিজার্ভ বোর্ডের খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এই ক্যাটাগরিতে সবথেকে ভালো পার্ফরম্যন্স স্কোর করেছেন অর্জুন এরিগাইসি ও ডি. গুকেশ । এর মধ্যে অর্জুন এরিগাইসি ১১টা ম্যাচ খেলে ১০টা জেতেন ও গুকেশের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি ২২টি ম্যাচের মধ্যে ২১টি জেতেন। অন্যদিকে ডি. গুকেশ এই টুর্নামেন্টের একমাত্র খেলয়াড়, যিনি ৩০০০+ পার্ফরম্যন্স রেটিং ক্রস করেছেন। টুর্নামেন্টে ৯টা ম্যাচ জিতে এবং ১টি ম্যাচ ড্র করে তার রেটিং ছিল ৩০৫৬। উল্লেখ্য, দাবা অলিম্পিয়াডে এটা ডি. গুকেশের দ্বিতীয় সোনা জয়।
অন্যদিকে মহিলাদের ইভেন্টের শেষ রাউন্ডেও, ভারত আজারবাইজানের বিরুদ্ধে ৩.৫-০.৫ এ জেতে। মহিলা খেলয়াড়দের মধ্যে জেতেন হরিকা দ্রোনাভাল্লি, বৈশালী রমেশবাবু, দিব্যা দেশমুখ, বন্তিকা আগরওয়াল, তানিয়া সচদেব ও কোচ অভিজিৎ কুন্তে । রিজার্ভ বোর্ডে শীর্ষ বাছাই ভারতীয় মহিলাদের হয়ে খেলেন তানিয়া সচদেব । তারা ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেন, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাজাখস্তানের চেয়ে এক বেশি।
ওইদিন সোনা জয়ের পর পোডিয়ামে তাদের সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় লিওনেল মেসি ও রোহিত শর্মার স্টাইলে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তানিয়া সচদেব ও ডি গুকেশ কে দেখা যায় আইকনিক সেলিব্রেশন অনুকরণ করতে। তাঁরা ট্রফি হাতে নিয়ে দলের কাছে যাওয়ার সময় কিছুটা ঝুঁকে আসতে আসতে হেঁটে আসেন। এরপর সেটা দলের সামনে গিয়ে তুলে ধরেন। স্বাভাবিক নিয়মেই এই জয়ে খুশির হাওয়া বইছে ভারতে।