১৩ জুলাই থেকে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় আসছে নতুন ফাইনাইড সিরিজ ‘অলৌকিক না লৌকিক’। অন্ধ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়তে আসছে পাঁচজনের একটি দল। এরা ভণ্ডদের মুখোশ খুলবে। ভাল করার নামে মানুষের মাথায় টুপি পরিয়ে যারা সম্পদশালী হয়ে ওঠে তাদের মাথা ঘুরিয়ে দিতে আসছে বিক্রম, হিয়া, রজত, ভোম্বল, পার্থ। এদের সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল বোলপুরে। কারণ সিরিজের সাংবাদিক সম্মেলনটির আয়োজন সেখানেই করেছিল চ্যানেল। বিক্রম ও তার শক্তিশালী দল ছাড়াও হাজির ছিলেন সিরিজের প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। গানের ওপারে, অদ্বিতীয়া, লাবণ্যর সংসারের পর অলৌকিক না লৌকিক ‘এন আইডিয়াজ ক্রিয়েশন্স অ্যান্ড প্রোডাকশন্স’-এর আরও একটি সংযোজন।
এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে এই সিরিজের কাজে হাত দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির বুম্বা দা। কার্তিকে, সোহিনী, ঋদ্ধিস, দেবপ্রিয়, সৌম্যরূপ কেউই টেলিভিশনের খুব বেশি পরিচিত মুখ নয়। কম-বেশি কাজ অবশ্য প্রত্যেকেই করেছেন। তবে, এবার এক বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে ওঁরা। দর্শকের চোখ থাকবে ওঁদের দিকেই। কারণ লড়াইটা ওঁদেরই। এই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ জানান-“নতুনদের নিয়ে কাজ করার একটা মজা আছে। চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। ওদের ফ্রেশ ভাবনা। নিজেকে উপস্থাপন করার কায়দাও আলাদা ওদের। একদম সাদামাটা পোশাকে দেখা যাবে সিরিজের পাঁচজন মুখ্য চরিত্রকে। সচরাচর বাংলা টেলিভিশনে এরকম দেখা যায় না। আমাকে অনেকে প্রশ্নও করেছে যে এত সাদামাটা কেন চরিত্রের সাজপোশাক? আমার মতে, সাধারণ পোশাকে বিচরণকারী মানুষের ভাষা সাধারণ মানুষ খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারেন। আর এই সিরিজের স্বাদের কথা মাথায় রেখেই এমন সাদামাটা পোশাক ব্যবহার করা হচ্ছে।”
বাংলা টেলিভিশনের জন্য লাগাতার কাজ করতে চান না তিনি ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থা। তিনি জানান- “টিভির জন্য লাগাতার কাজ চালিয়ে যাওয়াটা খুব চাপের ব্যাপার। সেটা এক অদ্ভুত চাপ। তাই সুস্থ, অল্প আর ভাল কাজ করতে চাই আমি ও আমার সংস্থা। প্রচুর কাজ করলেই যে জনপ্রিয় হওয়া যায় এমন কথায় আমি বিশ্বাসী নই। বরং কম অথচ ভাল কাজ করলে মানুষ মনে রাখে অনেকদিন।”
ওয়েব সিরিজ কি কোনওভাবে বাংলা টেলিভিশনকে প্রভাবিত করে? উত্তরে তিনি জানান- “একেবারেই না। টেলিভিশনের একটা আলাদা জায়গা আছে। সেই জায়গা কেউ নিতে পারবে না। অন্যান্য মাধ্যমের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে টেলিভিশন। অনলাইনের কোনও ফলাফল আমরা পাই না। লাটাইয়ের সুতো ছেড়ে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু কটা ঘুড়ি কাটলাম তা জানতে পারছি না। কিন্তু টেলিভিশনের একটা ফলাফল আছে। যেটা আমরা প্রতি মুহূর্তে জানতে পারি। অনলাইনের দাপাদাপিতে টেলিভিশন হারিয়ে যাবে এমনটা হতে পারে না।”
তিনি আরও জানান- “আমি চাই বাংলা টেলিভিশনে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্রে রেখে কাজ হোক, সাহসী কাজ হোক। আমার বিশ্বাস আজ বাংলা টেলিভিশন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তার থেকে আরও ভাল জায়গায় একদিন সে বিচরণ করবে। নতুনদের ভাবনায় আরও বেশি সাবলীল হবে বাংলা টেলিভিশন।“