বিশ্ব ইতিহাসে আবারো নতুন কিছুর সংযোজন হতে চলেছে, মানে ইতিহাসের বইয়ে আরো বেশ কিছু পাতার সংযোজন ঘটবে আর তার কলেবর খানিক আরো বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি এমন ইঙ্গিত দিয়েছে ইতালির পম্পেই।
ইতালির অন্যতম প্রত্নক্ষেত্র পম্পেই থেকেই পাওয়া গেলো (৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাতের ফলে লাভার গ্রাস কবলিত) দক্ষিণ আল্পসের প্রাচীন জনজাতির জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ গুপ্ত নিদর্শন। কিন্তু কি সেই নিদর্শন, যা বিশ্ব ইতিহাসকে কিছুটা হলেও পরিবর্তন করবে? জানাব সেই কথা।
আর সেই ঐতিহাসিক নিদর্শন হল ঘোড়ায় টানা ২০০০ বছরেও ‘অক্ষত’ লোহার প্রাচীন রথ। করোনার কারণে এমনিতেই বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত।
কিন্তু তাই বলে ইতিহাসের অনুসন্ধান থেমে থাকবে? তাই বছরের শুরুতেই আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে এলেই ৭ই জানুয়ারি প্রত্নতাত্ত্বিকরা নতুন করে খননকার্য চালাতে চালাতেই একটি ধাতব বেশ বড়সড় রথের সন্ধান পান। এখনও অবধি মাত্র ২০ হেক্টর অঞ্চল খনন করা সম্ভব হয়েছে। আর তাতেই রোমাঞ্চকর তথ্য উঠে আসছে।
লোহার তৈরি এই রথটির গায়ে অলংকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ব্রোঞ্জ ও টিন, যা এখনো অক্ষত। প্রাথমিকভাবে রথের গঠনাকৃতি থেকে অনুমিত হয় যে এই রথের দুটি কক্ষে পুরোহিত ও মহিলাদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা ছিল।
এই রথ শুধু বিবাহের অনুষ্ঠানে না কি অন্য কোনো ধরনের উৎসবে ব্যবহার হতো তা জানতে প্রয়োজন আরও গবেষণার ও সময়ের।
তবে ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাতের ফলে লাভার গ্রাস কবলিত পূর্ব পম্পেইর সমস্ত নমুনাই শিলার নিচে প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। এখনও অপেক্ষা সময়ের। ক্রমশ খননকার্য যত এগোবে ততই ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে আর উঠে আসবে অজানা তথ্য আর রসিকতা করে বলা যায় যে, ইতিহাস বইয়ের কলেবর আরো বৃদ্ধি পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।