অক্ষয় তৃতীয়া। চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। এই তিথিতে কোনও শুভ কাজ করলে অক্ষয় আয়ু পায় তার ফল। ওড়িশার পুরীতে শ্রী জগন্নাথের রথ যাত্রার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায় অক্ষয় তৃতীয়া তিথি থেকেই। এই দিনটিতে অনুষ্ঠিত হয় দারু দেবের চন্দন যাত্রা উৎসব।
এই দিন শ্রী জগন্নাথ, বলভদ্র, এবং সুভদ্রার দেহে চন্দন লেপন করা হয়। শুধু চক্ষু বাদ। নব বাসে সুসজ্জিত করা হয় তাঁদের। বিগ্রহ মূর্তি নিয়ে শোভা যাত্রা করা হয়।
এই উৎসবকে 'গন্ধলেপন যাত্রা'ও বলা হয়ে থাকে। ভরা গ্রীষ্মে বিগ্রহের তপ্ত দেহকে স্বস্তি দিতে চন্দন লেপন করা হয়। দুই পর্বে ২১ দিন ধরে চলে এই উৎসব।
প্রথম পর্বে অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা এবং পঞ্চ পাণ্ডব মানে পঞ্চ লিঙ্গ নিয়ে মন্দিরের সিংহ দুয়ার থেকে শোভাযাত্রা হয়। পুষ্করিণী নরেন্দ্র তীর্থ পর্যন্ত। সেখানে নৌকাবিহার চলে। এই পর্ব কে বলা হয় 'বাহার চন্দন'। পরবর্তী ২১ দিন আচার অনুষ্ঠান হয় মন্দিরের অভ্যন্তরে। মায়াপুরের ইসকন মন্দিরেও অনুষ্ঠিত হয় চন্দন যাত্রা উৎসব। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন শুরু হয়, শেষ হয় বৈশাখী পূর্ণিমার দিন। উৎসবের এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভক্তরা চন্দন তৈরিতে মেতে ওঠেন।
তবে এবছর ছবিটা একটু আলাদা। কোবিদ-১৯ এ লকডাউনের জেরে জমায়েতে জারি কড়া প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা। তাই সবটাই অনুষ্ঠিত হবে মন্দিরের অন্দরে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচিত কয়েকজন পুরোহিত এবং সেবাইতের উপস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবছর চন্দন অনুষ্ঠান হবে। খুব কম সংখ্যক সেবাইত মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।
এবছর জমায়েত এড়িয়ে রথ যাত্রা কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে সেই পরিকল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই।