উত্তর কলকাতা মানেই ঐতিহ্যের এক পীঠস্থান। আর এই ঐতিহ্যের পীঠস্থানে দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য আজও মেনে চলা হয় সুষ্ঠুভাবে। যতই থিমের জোয়ার আসুক না কেন, আজও উত্তর কলকাতার পুজোয় কোনও না কোনও ভাবে সাবেকিয়ানাকে তুলে ধরা হয়। আর চালতাবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিও সেই ধারা বজায় রেখে চলেছে।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিল চালতাবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। সঞ্চালক শ্রেষ্ঠারর সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৌসম মুখার্জি এবং এবছরের থিম শিল্পী সৌম্য লাহা। এই বছর ৭৫ তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে চালতাবাগান সার্বজনীন দুর্গোতসব কমিটির দুর্গাপুজো। আর এবারে আধুনিকতার থিমে মুড়ে ফেলতে চলেছে তারা। এই বছর তাদের থিম ‘আদি পুজোর প্রাচীন প্রাণে, মা এবার লোকশিল্পের টানে’। বাংলা তথা ভারতবর্ষে যে লোকশিল্পের বিরাট এক ভান্ডার, সেটিকেই থিমের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চলেছে শিল্পী সৌম্য লাহা।
এছাড়া পুজোর সময় সামাজিক কাজকর্ম করেই থাকে চালতাবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। অন্যান্য বছরের মত এই বছরও পুজোর ৫দিন গরীব মানুষদের ৫দিনের বিনামূল্যে রেশন প্রদান করবে তারা। এছাড়া সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ঠান্ডা জলের মেশিন বসিয়েছে তারা। পাশাপাশি চালতাবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির তরফ থেকে অষ্টমী ও দশমীতে ভোগের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। অষ্টমীর দিন লুচিভোগ এবং দশমীর দিন খিচুরিভোগ খাওয়ানো হয় পাড়ার সকলকে।
চালতাবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো দেখতে গেলে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মানিকতলাগামী কোনও বাস ধরে মানিকতলা ক্রসিং নামবেন। সেখান থেকে একটু হাটলেই পৌছে যাবেন তাদের পুজোমন্ডপে।