সপ্তম পে কমিশনেই ইতি, বদলে আসছে নতুন পদ্ধতি

পে কমিশনে আসতে চলেছে আবারো বড়সড়ো এক বদল। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মীচারীদের বেতনবৃদ্ধির জন্য প্রতি দশ বছর অন্তর গঠিত হয় একটি করে পে কমিশন। সেই কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রের তরফে বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়। সপ্তম পে কমিশন গঠন করা হয় ২০১৩ সালে। সম্ভবত এই পে কমিশনই হবে অন্তিম পে কমিশন এমনটাই জানা যাচ্ছে। অষ্টম পে কমিশনের বদলে আসবে এক নতুন নিয়ম। মাইনে বৃদ্ধি এবং ওই সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত আর নেবেনা পে কমিশন। আসতে চলেছে নতুন এক সিস্টেম যা 'অ্যাক্রয়েড ফর্মুলা' হিসাবে পরিচিত। এই নতুন পদ্ধতি দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও সরকারি চাকুরিজীবীদের কর্মদক্ষতার বিচার করে নির্ধারণ করবে তাঁদের বেতন।

বিস্তর আলোচনার পর মোদী সরকার এবার এই নতুন নিয়মের প্রবর্তন করতে চলেছেন বলেই সকলের ধারণা। আর এর দ্বারা নির্ধারিত হবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন। নতুন ফর্মুলা আনার মূল উদ্দেশ্য হল কর্মীদের পারফর্মেন্সে উন্নতি করা। সরকারি বেতনপ্রাপ্ত অনেক কর্মচারীর কাজের খারাপ মানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বিগত পাঁচ বছরে ছাঁটাই করা হয়েছে প্রায় হাজার কর্মীকে। শুধু তাই নয় তাদের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে প্রচুর। তাই এবার কাজের ধরণ ও মান অনুযায়ী রেটিং দেওয়া হবে প্রত্যেককে এবং তার ভিত্তিতেই বাড়বে মাইনে। এমনকি যাদের রেটিং নিম্নসীমার নিচে থাকবে তাদের ছাঁটাই করাও হতে পারে। 

এই ফর্মুলার আবিষ্কর্তা হলেন পুষ্টিবিজ্ঞানী 'ওয়ালেক রুডেল অ্যাক্রয়েড'তিনি মূলত এই ফর্মুলা তৈরি করেছিলেন ভারতীয়দের জীবনধারণ পদ্ধতির কথা মাথায় রেখে। আর এই ফর্মুলা দিয়েই তৈরী করা হয় এমন একটি পে প্যাকেজ যার সাহায্যে সাধারণ মানুষের জীবনধারণে কোন সমস্যা না হয়, স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচতে পারে সকলে। এই পদ্ধতি কার্যকরী হবে শীঘ্রই এবং এর সাফল্য নিয়ে আশাবাদী সকলে।

cash

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...