কলকাতা মানে মাছ, কলকাতা মানে মিষ্টি। শুধু এই দুই কারণেই কলকাতা অনেক সেলিব্রিটিরই প্রিয় শহর। কলকাতা আর মিষ্টিপ্রেম কতটা ক্রেজি হতে পারে তেমন এক গল্প শুনিয়েছেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। সাত বছর পর আবার এ শহরে পা রাখলেন তিনি। বন্ধু পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘আ ট্রিউবিউট টু ঋতুপর্ণ ঘোষ : সিজনস গ্রিটিংস’ সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে।
শুটিং এর চাপ তো ছিলই। কিন্তু ফাঁক পেলেই চেনা শহরের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়াও ছিল সেলিনার কলকাতা সফরের ডেইলি শিডিউলে।
একদিন ফটোশুটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ চোখে পড়ল একটা মিষ্টির দোকান। কৃষ্ণনগরের দইয়ের টান, সঙ্গে মিষ্টি প্রেমটা একবার ঝালিয়ে নেওয়া, দুইয়ের সুযোগই মিস করতে নারাজ সেলিনা। সঙ্গে সঙ্গে হাইওয়ের ধারে থেমে গেল অভিনেত্রীর গাড়ি।
গাড়ি ছেড়ে নেমে মিষ্টির দোকানে ঢুকে দই খাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু সিট ছেড়ে মাটিতে পা দেবেন কী, মুহূর্তের মধ্যে ফ্যানেদের ভিড়ে ছয়লাপ। সবাই একবার চোখের দেখা দেখতে চায় তাঁকে। অভিনেত্রীর সে ইচ্ছে আর পূরণ হলো না। গাড়ির মধ্যে বসেই নিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের দইয়ের স্বাদ।
গাড়ি থেকে নেমে মিষ্টি হপিং এর ইচ্ছেটাকে অবশ্য ভিড়ের চাপে বাই-বাই বলতেই হয়েছিল সেদিন।
কিন্তু কলকাতার ফ্যানেদের আবেগ ভালোবাসা মন ভাল করে দিয়েছিল। সেলিনার কথায়, ‘প্রায় এক দশক আগে আমার কেরিয়ার শুরুই হয়েছিল কলকাতায়। বেশ কয়েক বছর ছিলাম। বন্ধুর সংখ্যাও কম ছিল না এই শহরটাতে। তাদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে। অথেনটিক বাঙালি মিষ্টি খুব পছন্দ করি। তাই চান্স পেলেই ফিরে আসি কলকাতায়।’
পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘আ ট্রিউবিউট টু ঋতুপর্ণ ঘোষ : সিজনস গ্রিটিংস’ ছবিটি মা- মেয়ের সম্পর্কের গল্প বলবে। মেয়ের চরিত্রে থাকছেন সেলিনা। মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে লিলেত দুবেকে।
সমাজ এবং সমকামী মানুষদের জীবন, সমস্যা উঠে আসবে কাহিনীতে। সেখানেই ছবির চমক। বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই ছবি। সেলিনা জেটলি নিজেও বহুদিন ধরে এলজিবিটিকিউআই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।