আজ সরস্বতী পুজো। বসন্তের আগমন! আজ বাংলার ঘরে ঘরে হবে বাগদেবীর আরাধনা। তবে এই পঞ্চমীতে শুধু ঘরে নয়, স্কুল, কলেজ, বিদ্যার আরাধনা পাড়ায় পড়ুয়ারা মেতে ওঠে এই সরস্বতী বন্দনায়।
প্রতি বছরের মতো এবারও বেলুড় মঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরস্বতী পুজো। জানা গিয়েছে যে মূল মন্দিরের পূর্বদিকে দেবী সরস্বতীর পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী মহারাজরা বেলুড় মঠের নিয়ম মেনেই সরস্বতী পুজোর আরাধনা শুরু করেছেন। সকাল থেকেই পুজোর এই বিশেষ দিনে বেলুড়মঠে প্রচুর ভক্তদের সমাগম।
তবে, এখানে একটি আকর্ষণীয় প্রথা মানা হয়। সেটা হল হাতেখড়ি। তাই বেলুড় মঠ চত্বরে এদিন ছোট ছোট শিশুরা হলুদ শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবী পড়ে তাদের পরিবারের সাথে এসেছেন হাতেখড়ি দিতে। গুরুমশাইয়ের হাত ধরে লেখা শুরু, শেখা শুরু হয় সকল খুদেদের। আমাদের বাংলা ভাষা (অ-আ-ক-খ )-কে চেনানো হয় এইদিন। তাই বড়দের সাথেও এদিন খুদেরাও আনন্দে মেতে ওঠেন।
ব্রহ্মার মানসকন্যা সরস্বতী৷ তাঁর এক হাতে বীণা আর অন্য হাতে পুস্তক। আর তাই পুস্তকের সঙ্গে যারা জড়িত সকলেই ব্যস্ত তাঁর আরাধনায়। মা সরস্বতী কাছে বিদ্যার্জন সহজ না হলেও, তিনি অল্পেতেই সন্তুষ্ট। সামান্য ফুল, মিষ্টি, বেল্পাতা আর দোয়াত কলম দিয়েই মায়ের পুজো সম্ভব। সাথে মায়ের মন্ত্র এবং কিছু নিয়মকানুন।
অন্যদিকে, মা সরস্বতী দেবী কলাবিদ্যারও দেবী। শিল্প নিয়ে যারা ব্যস্ত তারাও আজ মেতে উঠেছেন মায়ের পুজো নিয়ে। শ্বেতশুভ্র৷ হলেও এই বসন্ত পঞ্চমীর দিনে মা সরস্বতী সেজে ওঠেন বাসন্তী রঙে। আর তাঁর সঙ্গে রঙ মিলিয়ে সাজে পূজারীণিরাও৷
সকালে মেঘলা আকাশ ছিল কিন্তু বেলা বাড়তেই গুমোট ভাব বেড়েছে। সরস্বতী পুজোর দিন হল সকলের কাছে একটি ভালোলাগার একটি রঙিন দিন। সকাল থেকে শহরের রাস্তায় হলুদ শাড়ি ও হলুদ পাঞ্জাবিতে উপচে পড়ছে ভীড়।.আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার দিন। তাই ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র মতন বাঙালিদের কাছে এই সরস্বতী পুজোই হল বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে।