ভয় নেই বাংলা ভাষার। দরকার শুধু একটু আদর আর যত্নের। মায়ের ভাষায় স্বপ্ন দেখার অভ্যাস আর অহংকারটুকু বজায় থাকলে স্বাস্থ্যে-সুখে বেঁচে থাকবে আমাদের প্রাণের ভাষা।
এমনই আশাবাদ উঠে এল ভাষা দিবসের প্রাক সন্ধেয় স্টার থিয়েটারে। জিয়ো বাংলা আয়োজিত ভাষা উৎসবের মঞ্চ থেকে।
‘বিশ্বায়নের যুগে বাংলা ভাষা কি প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে?’ শীর্ষক আড্ডা-আলোচনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যাঞ্জলি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষা শাশ্বতী দত্ত, সাহিত্যিক দেবাঞ্জন মুখার্জী, শিক্ষা দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য রুদ্র শেখর সাহা, ও সঙ্গীত ব্যাক্তিত্ব পণ্ডিত মল্লার ঘোষ। কথালাপ-আড্ডা পরিচালনা করেন জিয়ো বাংলার প্রধান সম্পাদক আর জে প্রজ্ঞা।
শুধু বাংলা ভাষা নয়, সারা পৃথিবী জুড়েই যে চাপ বাড়ছে আঞ্চলিক ভাষাগুলির ওপর তার নানা দিক উঠে আসে অতিথিদের বক্তব্যে। দর্শকরাও অংশ নেন আড্ডায়।
বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিল অনুষ্ঠানে। বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং তারকারাও ভাষা উৎসবে সামিল হয়েছিলেন।
মেট্রো রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ, সিনিয়র নেফ্রোলজিস্ট এবং বেঙ্গল ফোরাম অফ ইন্টালেক্ট অ্যান্ড কালচারের ফাউন্ডার ডিরেক্টর পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়, মিসেস ইন্ডিয়া ইস্ট-২০১৮ আকাঙ্খা মাঙ্গলানী, মিসেস উওম্যান অফ ইউনিভার্স-২০১৯ অপ্সরা গুহ ঠাকুরতা, ‘কলকাতা হিরোজ’ পৃষ্ঠপোষক তনভির খান, চিত্র প্রযোজক অরিত্র দাস, চিত্র পরিচালক রণদীপ সরকার, অভিনেত্রী পিয়ালী মুখোপাধ্যায়।
বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তাপসী রায় নন্দনের কণ্ঠে ‘ আমি বাংলায় গান গাই’ মুগ্ধ করে দর্শকদের। ভাষা উৎসবের মঞ্চে কবিতা পড়ে শোনান কবি কল্যাণ রায়।
ভাষা দিবস উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুসঙ্গ উঠে আসে উৎসবে। নাচ-গান- আবৃত্তি সবেতেই ছিল সেই আবেগের ছোঁয়া। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন স্নেহা সাহা এবং সাবর্ণী বসু। কবিতাপাঠ করেন অনিন্দিতা চক্রবর্তী। গল্প পাঠে অরূপ কুমার দেব এবং অনিন্দিতা চক্রবর্তী।
শুধু বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা নয়, ছিল বাঙালি খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও। উৎসব অঙ্গন সেজে উঠেছিল বর্ণপরিচয় আর সহজপাঠের থিমে। বাংলা সংস্কৃতির চিরকালীন আটপৌরে টানে বাঁধা ছিল সমগ্র ভাষা উৎসবের সুর।
জিয়ো বাংলা ভাষা উৎসব ২০২০ -এর প্রেসেন্টিং স্পনসর ছিল ওরিয়েন্টাল ইনসিওরেন্স। গিফট পার্টনার ছিল ভিভেল বডি ওয়াশ এবং মশলা মুড়ি পার্টনার, সুইসিয়ম।