সিবিএসই-র দ্বাদশের পরীক্ষায় বাংলা থেকে সেরা হাওড়ার সৌমাদিত্য চন্দ্র

সারা দিনে কখনও ২ ঘন্টা, কখন ১০ ঘন্টা এমনই ছিল পড়ার সময়। ধরাবাঁধা ছকে নয়, নিজের খুশি মতো পড়ত হাওড়ার আন্দুল দুইলার সৌমাদিত্য চন্দ্র। এই রুটিনে পড়াশোনা করেই ২০২৩ সালের CBSE দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় (CBSE Class 12th result 2023) বাংলা থেকে সেরা হয়েছে সৌমাদিত্য। প্রাপ্ত নম্বর ৫০০ মধ্যে ৪৯১। ইংরেজিতে ৯৯ ,অংকে ১০০, পদার্থবিদ্যায় ৯৭, রসায়নে ৯৮ এবং কম্পিউটারে ৯৭।

বরাবরই মেধাবী সৌমাদিত্য কোভিডের কারণে দশম শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা দিতে পারেনি। সেই জন্য সাংঘাতিক খারাপ লাগাও ছিল। তবে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার সাফল্য সেই আফসোস দূর করে দিয়েছে।

যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল সৌমাদিত্য সেই অনুযায়ী এসেছে ফলাফল। কোনও গৃহ শিক্ষক ছিল না তার। একটি বেসরকারী কোচিং সেন্টারে প্রস্তুতি নিত। স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি সেন্টারের শিক্ষকরাও সাহায্য করেছেন। স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকেই প্রথম নিজের রেজাল্টের কথা জানতে পারে সৌমাদিত্য। ছাত্রের রেজাল্টে গর্বিত স্কুলের শিক্ষকেরা।

লাজুক, অন্তর্মুখী সৌমাদিত্য তার এই সাফল্য মা-বাবা এবং শিক্ষকদের উৎসর্গ করেছে। দিনের পড়াশোনাকে রুটিনের ছকে বন্দী না করে যখন যে বিষয়টা পড়তে মন চেয়েছে সেটাই পড়েছে। খোলা মনে পড়াশোনা করার এই ধরন তাকে পরীক্ষার চাপ থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করেছে। পড়ার সময় সারাক্ষণ গান চলত। পড়াশোনার বাইরে সে ইংরেজি এবং বাংলা গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। গল্পের বই পড়ার অভ্যাসের কারণে দখল তৈরি হয়েছে দুই ভাষাতেই। ভবিষ্যতে তার ইচ্ছা আছে আইআইটিতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করা।

মা শর্মিষ্ঠা চন্দ্র জানিয়েছেন, ছেলের সাফল্যে তিনি খুব খুশি। ছেলে আলু ভাজা খেতে ভালোবাসে বলে, আজ একটু বেশি আলু ভাজা করেছেন। ছেলে যা ভালবাসে, সেই নিয়েই পড়াশোনা করুক এটাই তাঁর একমাত্র চাওয়া।

ছেলের ওপর কোনও কিছু জোর করে চাপিয়ে দিতে চান না তিনি। সৌমাদিত্যের বাবা পেশায় উত্তরবঙ্গের চা বাগানের ম্যানেজার। গোটা পরিবার তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। তিনি ফিরলে হবে ছেলের সাফল্যের উদযাপন।  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...