চিকিৎসা ক্ষেত্রে আবারও এল সাফল্য। ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়ার পর রোগীর বিভিন্ন অঙ্গ চলে যাচ্ছে অন্য রোগীর শরীরে। তার ফলে প্রাণ ফিরে পাচ্ছেন কঠিন রোগে ভুগতে থাকা অপর রোগী। আর এই কাজে বারবার দেখা গেছে ট্রাফিকের অবদান। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে রোগীর শরীরে এক শহর থেকে অন্য শহরে অঙ্গ নিয়ে এসে।
এবারে আবার একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো বেঙ্গালুরু শহর। প্রায় ৮৪ কিমি পথ পেরিয়ে একজন রোগীর ক্যান্সার আক্রান্ত হাড় এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানে সেই হাড় থেকে ক্যান্সার সেল বাদ দিয়ে ফের একবার রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপিত হল। এই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হাসপাতালের পথ জুড়ে সুপার ফাস্ট গ্রিন করিডর তৈরী করা হল। ৩২ বছর বয়সী এক রোগীর বিরল এই অস্ত্রোপচার বেঙ্গালুরুতে এই প্রথম বলেই জানালেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ডাক্তারেরা।
ক্যান্সার আক্রান্ত ওই রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয় স্থানীয় প্রক্রিয়া হাসপাতালে। হাড়ের ক্যান্সার নিয়ে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি নতুন পদ্ধতিতে তাঁর চিকিৎসা করতে রাজি হয়ে যান। সেই মতো চিকিৎসা করা হয় ওই ব্যক্তির। তাঁর ক্যান্সারে আক্রান্ত হাড়টি স্থানীয় ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে প্রয়োজনীয় রেডিয়েশন দেওয়া হয়। হাড়ের রোগ সারিয়ে পুনরায় প্রক্রিয়া হাসপাতালে সেটিকে এনে রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই গোটা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে ২ ঘন্টা ১০ মিনিটে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অন্যান্য অঙ্গের মত মানুষের হাড়েরও সেল্ফ লাইফ ৪ থেকে ৫ ঘন্টার। উক্ত হাসপাতালের অর্থো অঙ্কোলজিস্ট বিভাগের প্রধান ডঃ শ্রীনিবাস সিএইচ জানান, ওই রোগীর কন্ড্রোসারকোমা ধরা পড়েছিল। অত্যাধুনিক এই অস্ত্রোপচারের পর তিনি এখন ক্যান্সারমুক্ত। ফর্টিস হাসপাতালের ডঃ অনিল কুমার এম আর জানান, এই অপারেশন নিয়ে ৬-৭ বার ডাক্তারদের মধ্যে মিটিং হয়েছে। তারপর সুপরিকল্পিতভাবে হাড়টিকে শরীর থেকে বের করে তাকে রেডিয়েশন দিয়ে ক্যান্সার মুক্ত করে পুনরায় রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এইভাবে এক অনন্য উপায়ে হাড়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পন্ন হল অতি দ্রুততার সঙ্গে। এর মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরও এক কদম এগিয়ে গেলাম তা বলাই যেতে পারে।