শুরু হচ্ছে চেতলার কেবল লাইন গুছোনোর কাজ

চেতলার লোকাল কেবল অপারেটার্স সেখানকার কেবল-এর তারগুলিকে গুছোনোর কাজ শুরু করছে। রাস্তার আলোর খুঁটিতে এই কেবলের তার এত হারে বেড়ে গেছে, যে তা একে অপরের গায়ে জড়িয়ে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

                        চেতলার কেবল অপারেটর শান্তনু বোস জানান, তাঁরা বর্তমানের চালু কেবল তারগুলিকে চিহ্নিত করে অচল তারগুলি ছেঁটে বাদ দিয়ে দেবেন। তারপর সেই সচল তারগুলি একজোট করে এলুমিনিয়াম ওয়ারে গুছিয়ে একটি মোটা কেবল বান-এর মধ্যে রাখা হবে। ছড়ানো ছিটোনো প্রচুর তারের জায়গায় মোটা বান, কেবল-এর তারের জট লাগানো পরিস্থিতি থেকে সরিয়ে জায়গাটি পরিচ্ছন্ন করবে। তিনি আরও জানান, তাঁরা দলবদ্ধভাবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছেন। তার সঙ্গে কেএমসি-র ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা। শান্তনু বাবু আরও জানান, এখন যেখানে ২০-২৫টি কেবল জড়ানো অবস্থায় ঝুলে রয়েছে চারদিকে, তারমধ্যে ৬-৭টি কেবল-ই শুধুমাত্র ব্যবহৃত হয়। বাকি সব অব্যবহৃত তার, ঝুলে রয়েছে এবং শহরের দৃশ্যদূষণ হচ্ছে। এর ফলে শহরের স্কাইলাইন আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

                      আলিপুর, হাজরা, হরিশ মুখার্জী রোড, পার্ক স্ট্রিট এলাকাতেও কেবল-এর তারগুলি গুছোতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শহরের কেবলগুলিতে মূলত লোকাল কেবল অপারেটার্স, সেলফোন কোম্পানি, ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রোভাইডার এমনকি পুলিশের ওভারহেড ফাইবার অপটিক কেবল লাইনের তার থাকার ফলে খুব কদর্যভাবে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে থেকে এবং ঝুলে থেকে শহরের দৃশ্যদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে থেকে বেশ কিছু রয়েছে ডেড লাইনের তার, যেগুলোর কোনও অস্তিত্ব নেই, অথচ সেগুলি রয়ে গেছে। সেগুলিকে শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলাই হল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ।

                     চেতলার আলিপুর রোড, জাজেস কোর্ট রোড এবং সেন্ট্রাল রোডের বিভিন্ন লেন এবং বাই লেনের কাজ আগে করা হবে বলে জানান শান্তনু বাবু। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...