চাঁদের মাটিতে বিক্রম ল্যান্ড করা মাত্রই জয়জয়কার ভারতের। চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতাকে ভুলে চন্দ্রযান-৩ ভারতকে জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন পাইয়ে দিয়েছে। এর নেপথ্যে যেমন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার হাত রয়েছে তেমন অবদান রয়েছে হাজার হাজার নাম না জানা গুণী ব্যক্তিত্বের। চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে নাম জড়ালো বর্ধমান । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১০ জন কৃতি ছাত্রের অবদান আছে এই সাফল্যে। চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত প্রত্যেক ভারতবাসী। কিন্তু বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের বাড়িতে যেন খুশির আমেজ আরেকটু বেশি। পদার্থবিদ্যা বিভাগের দুই প্রাক্তন ছাত্র অরিন্দম চক্রবর্তী ও শুভময় বসু-র অবদান রয়েছে এই সাফল্যের পেছনে। ২৩ আগস্ট ,মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধান কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলেন এই দুই ছাত্র।
জানা যায়, বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের সময় গোটা বিষয়টি দেখাশোনার দায়ভার ছিল অরিন্দম চক্রবর্তীর উপর। বিক্রমের নামার আগে অবধি তার গতিপথে নজর রাখছিলেন শুভময়।
এই প্রসঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যার অধ্যাপক অনিন্দ্য বসু জানান যে এই বিশাল কর্মকান্ডে এই দুই প্রাক্তনী ছাড়াও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৮ জন প্রাক্তন ছাত্র রয়েছে। অভিজিৎ রায়চৌধুরী, শীর্ষেন্দু দাস, শশীকান্ত কুমার,বিকাশ ঘোষাল, পার্থসারথি নানী, অনামিয়া ভট্টাচার্য এর মতো কৃতী ছাত্রদের অবদান রয়েছে এই অভিযানে। তিনি আরো জানান সফল অভিযানের পর অনেক রাতে বাড়ি ফিরে প্রত্যেকেই যোগাযোগ করেছেন তাদের প্রিয় শিক্ষকের সঙ্গে।
অনামিয়া ভট্টাচার্য বর্ধমান মিউনিসিপাল স্কুলের ছাত্র। সে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর করেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। এরপর সে এম টেক ও করেছে। সফল অভিযানের খবর সে নিজেই বাড়িতে ফোন করে জানায়। তার আগে থেকেই অবশ্যই তার আত্মীয়-স্বজন এবং পরিবার পরিজনেরা চোখ রেখেছিলেন লাইভ টেলিকাস্টের পর্দায়।