‘বুরা না মানো হোলি হ্যায়...’

দোর পেরিয়ে পাড়ায় পা রাখতেই বালতিকতক ম্যাজেন্টাজল ঝপাৎ করে এসে পড়ল গায়ে। ওমা, ‘বুরা না মানো হোলি হ্যায়...’ কেউ বললই না! বরং খিল্লি মেরে ‘ইয়ারি হ্যায় ইমান মেরি’ দু’কল্লি গেয়ে বাগে পেয়ে ইয়ারদোস্তরা মুঠো মুঠো আবিরের ওয়ালপুট্টিতে ভুত বানিয়ে, দো ঘোঁট ভাঙ গিলিয়ে তবে ছাড়ল। একবার মৌজ এলে থামায় কে! তখন ‘বুরা না মানো’-র এটিকেটে গুলি মেরে, দেদার ‘রঙ-বাজি’ সেরে ফুল-টাল্লি হয়ে দোর পেরিয়ে লাস্ট ঠিকানা চানের ঘর।

‘বুরা মানো...’ লবজটি কিন্তু জন্মসুত্রে সম্রাট আকবরের দরবারি জিনিস। আকবরের কাছে হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির কোন ভেদাভেদ ছিল না। তাঁর কাছে ঈদ যতটা আবেগের ছিল, হোলিও ছিল ততটাই। নাচ-গান ও রঙ খেলার এই উৎসবে সম্রাট নেমে আসতেন সভার সকলের মাঝে। তখন উপস্থিত নারীপুরুষ সভাসদ-পারিষদ যেকেউ তাঁকে রঙ মাখাতে পারত, তবে তার আগে খানিক সঙ্কোচের বশেই বলে ফেলত, ‘বুরা না মানো হোলি হ্যায়’। ব্যস, এভাবেই এ-লবজ ধীরে ধীরে বারোয়ারি হোলির এটিকেট হয়ে গেল।      

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...