রান্নায় নুন, তেল আর ঝাল এই তিনটি জিনিস না থাকলে, বাঙালী ঘরে তা রান্না হিসেবে গন্য হয়না। এরমধ্যে ঝালের একটা আলদাই চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশে। মাংসকষা থেকে ঝালঝাল ফুচকা, সব ক্ষেত্রেই কাঁচালঙ্কা আমাদেই চাইই চাই। আর বাজারে কাঁচালঙ্কার এই চাহিদার পূরণ ঘটাচ্ছে সুন্দরবনের চাষিরা। বিশাল পরিমাণে বুলেট লঙ্কা চাষ করে বাজারে জোগান দিচ্ছে তারা।
হাইলাইটস:
১। সুন্দরবন এলাকায় বুলেট লঙ্কার চাষ বেড়েছে
২। কেন এই লঙ্কার চাষ বেড়েছে?
৩। কীভাবে লাভবান হচ্ছে চাষিরা?
বুলেট লঙ্কা চাষের কিছু প্রধান প্রধান সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, অন্যান্য লঙ্কার থেকে এই লঙ্কার ফলন বেশি। ফলে অল্প জমিতে চাষ করে অনেক পরিমাণে ফসল পান চাষিরা। এছাড়াও, অন্য জাতের লঙ্কা ফলতে যেখানে আড়াই থেকে তিন মাস সময় লাগে, সেখানে বুলেট লঙ্কা গাছে দুই মাসেই ফল আসে।
তবে ফলন যেমনই হোক, বাজারদরের উপর নির্ভর করে চাষিদের ভবিষ্যৎ। আর এইখানেই মুনাফা লুটে নিচ্ছেন চাষিরা। বর্তমানে বুলেট লঙ্কার বাজারদর খুব চড়া। অন্য জাতের লঙ্কার পাইকারি বাজারে দাম, বুলেট লঙ্কার থেকে প্রায় তিনভাগের একভাগ। তাই এই চাষ চাষিদের স্বস্তি ও এই ফসল চাষের প্রতি উৎসাহ এনে দিচ্ছে।
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা সহ ভাঙর, গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলা প্রভৃতি এলাকায় এই চাষের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি ফল লাভের আশায় চাষিরা অন্য আনাজের পাশাপাশি বুলেট লঙ্কা চাষ করছে। এই কারণে অন্যান্য লঙ্কার বাজারদর তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই চাষেই লাভ দেখতে পারছেন কৃষকরা। তবে এই লঙ্কা শুধুমাত্র এই রাজ্যেই নয়, অন্যান্য জায়গাতেও এর রপ্তানি হচ্ছে।