BSNL Users: টাটার সাথে ১৫০০ কোটি টাকার চুক্তি বিএসএনএল-এর। বাড়ছে লক্ষাধিক গ্রাহক সংখ্যা

ভারতবর্ষে লাফ কেটে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। আর সেইসঙ্গে বাড়ছে ইন্টারনেট চাহিদা। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯৩.৬১ কোটি। এমত অবস্থায় দিন দিন ইন্টারনেট প্যাকেজ এর দাম বাড়িয়ে চলেছে বেসরকারি সংস্থাগুলো। তবে এর মধ্যে গ্রাহকদের স্বস্তির আশ্বাস বিএসএনএল।

হাইলাইটস:

১। ২৫০,০০০ জন গ্রাহক সিম পোর্ট করেছেন বিএসএনএল-এ।

২। বেসরকারি সংস্থা রিচার্জ প্ল্যানের কত শতাংশ দাম বাড়িয়েছে?

৩। টাটা ইন্ডাস্ট্রি কত কোটি টাকার চুক্তি সই করেছে?

জানা যাচ্ছে, বিএসএনএল-এর গ্রাহকসংখ্যা খুব দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি হচ্ছে। কোম্পানির নতুন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২.৭৫ মিলিয়ন। আর যার মধ্যে প্রায় ২৫০,০০০ জন গ্রাহক এমন আছেন, যারা পোর্টেবলিটি ব্যবহার করে নিজেদের সিম পোর্ট করেছেন বিএসএনএল-এ।

এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহকসংখ্যা বর্ধনের অন্যতম কারণ বেসরকারি সংস্থাগুলির ইন্টারনেট পরিষেবার দাম বৃদ্ধি। বর্তমান বছরের জুনের শেষ সপ্তাহে ভারতের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছিল। এই দৌড়ে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন কেউই বাদ যায়নি। তবে সবচেয়ে বেশি জিও তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে। প্রায় ১২ থেকে ২৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করেছে জিও। এয়ারটেল বাড়িয়েছে, ১১ থেকে ২১ শতাংশ এবং ভোডাফোন বাড়িয়েছে ১০ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত।

এমত অবস্থায় বিএসএনএল সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে। বিএসএনএল ডাটা প্যাক অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার প্যাকেজের তুলনায় অনেক কম। সেই কারণেই এত বেশি পরিমাণ মানুষ বিএসএনএল পরিষেবার প্রতি আস্থা রাখছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রত্যেক মাসে এত বেশি পরিমাণ টাকা দিয়ে ইন্টারনেট রিচার্জ করা সম্ভব নয়।

তবে এই বিষয়ে একটি প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ মহলে রয়েছে। এত বেশি পরিমাণে গ্রাহক বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিকে নিজের নেটওয়ার্কের গতিবিধি বাড়াতে হবে। যদি তা না হয় তবে বিশাল সংখ্যক মানুষ বিএসএনএল থেকে আস্থা হারাবে। বর্তমানে ভারতবর্ষে 4G পরিষেবা সবথেকে সস্তায় দিয়ে থাকে বিএসএনএল। কিন্তু জিও, এয়ারটেল, ইত্যাদি বেসরকারি সংস্থা দেশ জুড়ে 5G পরিষেবা চালু করে দিয়েছে। ফলে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই, হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।

তবে এই বিষয়ে অন্যতম পদক্ষেপ নিয়েছে টাটা ইন্ডাস্ট্রি। বিপুল সংখ্যক গ্রাহকদের উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য টাটার সাথে হাত মিলিয়েছে বিএসএনএল। সূত্রের খবর, চলতি বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার চুক্তি সই করেছে বিএসএনএল টাটার সাথে। এই অর্থ, নতুন টাওয়ার বসানো এবং ইন্টারনেট স্পিড পরিষেবা বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হবে।

প্রসঙ্গত, সরকার, মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড কোম্পানিকে বিএসএনএল কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে। কারণ এই কোম্পানি নির্দিষ্ট বন্ডহোল্ডারদের সুদ পরিশোধ করতে অসফল হচ্ছে। এই কোম্পানির লোকসান গত অর্থবছরে ২,৯১৫.১ কোটি টাকা থেকে চলতি অর্থবর্ষে ৩,২৬৭.৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এবার এটাই দেখার, বিএসএনএল গ্রাহকদের কতটা পরিতৃপ্তি দিতে পারে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...