হৃদয়ভঙ্গের যন্ত্রনা সব মানুষকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে সহ্য করতে হয়। প্রেমে ব্যর্থতা থেকে চাকরি খোয়ানো, প্রিয়জনের মৃত্যু, পোষ্যের মৃত্যু, কর্মক্ষেত্রে সমস্যা বা নিজের কোনো কঠিন অসুখ মন সামান্য খারাপ থেকে আসে অবসাদ আর সেই অবসাদই গ্রাস করে একটি গোটা জীবনকে। একটি সুস্থ্য সবল হৃদয় ভেঙে টুকড়ো টুকড়ো হয়ে যায়। হৃদয়ভঙ্গ হয় সব ক্ষেত্রেই। কিন্তু এই হৃদয়ভঙ্গ কি সত্যিই ঘটে? নাকি এটা নেহাত দুঃখ প্রকাশের ভাষা মাত্র?
হার্টব্রেকিং সিন্ড্রোম চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরিচিত কার্ডিওমায়োপ্যাথি হিসেবে। এই রোগটির ফলে অনেকসময় মস্তিষ্ক এমন ভেবে বসে যেন হৃদয়ে ফিজিক্যালি কোনো আঘাত লেগেছে। মস্তিষ্কের এই অদ্ভুত খেলায় পরিবর্তন আসে শরীরেও। অনেকসময় 'রিগর মর্টিসের' মতো সমস্যাও দেখা যায় শরীরে। অনেকসময়ে এই হৃদয়ভঙ্গের ফলে নকল হার্ট অ্যাটাকের চিহ্ন ও শরীরে ফুটে উঠতে পারে। এর ফলে বুকে ব্যাথা, বমিভাব, মাথাঘোরা প্রভৃতি সমস্যাও হতে পারে।
কিছু বছর আগের পাওয়া একটি খবর থেকে জানা যায়, একজন মহিলা তার একমাত্র পোষ্যের মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে হৃদয়ভঙ্গের সম্মুখীন হয়েছিলেন। এছাড়াও নানা গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে এমন অনেক তথ্য। জানা গেছে, মেটাস্টাটিক ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত এক মহিলা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার দু বছর আগে হৃদয়ভঙ্গের স্বীকার হয়েছিলেন যখন তার স্বামী অবসর গ্রহণের মুখে ছিলেন।
গবেষকরা জানাচ্ছে, সাধারণত হৃদপিণ্ড বা নিলয় দুর্বল হয়ে পড়ার ফলে ব্যাথা অনুভূত হয় সেই স্থানে। এর ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে। চিকিৎসকদের দাবি, মূলত স্ট্রেস থেকেই এই হার্ট ব্রেকের ঘটনা ঘটে থাকে। তারা জানিয়েছেন, ৯৫% মানুষ এই সমস্যা দু মাসের মধ্যে কাটিয়ে উঠতে পারলেও এই হার্ট ব্রেকের ফলে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।