কোথাও পাঁচ, কোথাও দশ, কোথাও পনেরো- বাজার ভরে গিয়েছে শীতের ফুলকপিতে। ভেটকি মাছ দিয়ে ঝোল হোক বা গরম গরম পকোড়া, ফুলকপি সবসময় উপাদেয়। ফুলকপি হল বাঙালির শীতের সিগনেচার। কিন্তু ফুলকপি মোটেই রূপসর্বোস্য নয়। শীতের প্রধান এই সবজিটির পুষ্টিগুণ প্রচুর।
হার্ট থেকে চোখ প্রায় সব অঙ্গের যত্ন নেয় ফুলকপি। এতে আছে গ্লুকোসিনোলেৎ যৌগ সিনিগ্রিন ও সালফোরেফেন- যা বিভিন্ন অসুখ সারাতে ফুলকপিকে সাহায্য করে।
হৃদরোগ- ধমনীর অভ্যন্তরে প্রদাহ প্রতিরোধ করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ফুলকপির সালফোরেফেন খুব উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ- ডায়েটারি ফাইবার এবং পটাশিয়াম আছে ফুলকপিতে। যা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওবিসিটি-ফুলকপিতে ক্যালরি ও ফ্যাট লেভেল খুব কম, তাই বাড়তি ওজনের সমস্যায় যারা ভুগছে তারা ডায়েট চার্টে রাখতেই পারে ফুলকপি।
ডায়াবেটিস- ভিটামিন বি, ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ ফুলকপি কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মধুমেহর সমস্যা থাকলেও খাওয়া যায় এই সবজি।
ক্যানসার- ফুলকপির সালফোরেফেন ক্যানসারের স্টেম সেল নষ্ট করে। ব্রেস্ট, কোলোন, লাং, লিভার, স্টমাক, ইসোফেগাস, রেক্টাম ইত্যাদি ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হজম শক্তি- ডায়েটারি ফাইবার ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ ফুলকপি হ জম ও বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি- ফুলকপিতে আছে বিটা ক্যারোটিনয়েডস। ছোট শিশুদের ফুলকপি খাওয়ালে চোখ ভাল থাকে।
রোগ প্রতিরোধ করে- ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।
চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী- কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার ফাইবারসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
চর্ম রোগ প্রতিরোধ- ফুলকপি চুলকানি প্রতিরোধ করতে সহায়ক। শীতকালে ঠাণ্ডায় ত্বকে লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফুলকপির কচি পাতা বেটে লাগালে চুলকানি ভালো হয়ে যায়।