মানবজীবনের যাবতীয় কাজকর্মের জন্য দায়ী মস্তিষ্ক। মনে করা হয়, মানুষের মৃত্যু মানে মৃত্যু মস্তিষ্কেরও। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, মৃত্যুর পরেও কিছুক্ষন সজাগ থাকে আমাদের মস্তিষ্ক। মৃত্যুর পর সেই মানুষটিও বুঝতে পারেন তিনি আর এই পৃথিবীতে নেই। তাকে ঘিরে আত্মীয়স্বজনের কান্না, কথাবার্তা সবটাই শুনতে পান সেই মানুষ। পুরোনো দিনের কিছু কথাও সেই সময় ভিড় করে আসে সেই মৃত মানুষটির মনে। পরিবারের সাথে কাটানো বিভিন্ন সুন্দর মুহূর্তের ছবি রেউইন্ড পদ্ধতিতে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মৃত ব্যক্তি সেগুলি দেখতে পান একের পর এক স্বপ্ন হিসেবে।
মানুষকে মৃত ঘোষণা করা হয় তখনই যখন তার হৃদযন্ত্র কাজ করা সম্পূর্ণভাবে থামিয়ে দেয়। হৃদযন্ত্রের কাজ রক্ত সংবহন করা তাই হৃদযন্ত্রের কাজ থেমে গেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এবং শক্ত হতে থাকে। এক অদ্ভুত বর্ণহীন ভাব ফুটে ওঠে মানুষটির মুখেচোখে। কিন্তু এই সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি সম্পন্ন হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে সেই আর সেই সময়টুকুতেই সজাগ থাকে আমাদের ব্রেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, মৃত্যু ঘটার পরেই আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপের মধ্যে এক অদ্ভুত স্পাইক দেখা যায়।
কখনো কোনো মানুষ যদি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তখন ডাক্তারি ভাষায় তাকে বলা হয় 'নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স'। এমনই এক নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সড মানুষ হলেন অনিতা মুর্জানি। তিনি নিজে তার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন 'ডাইং টু বি মি'বইতে। টানা ৩০ দিন কোমাচ্ছন্ন থাকাকালীন তার যাবতীয় অনুভূতি তিনি ব্যক্ত করেছেন তার এই বইতে।বিজ্ঞানীদের দাবি, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা মানুষ আগের তুলনায় বেশি সংবেদনশীল এবং নিজের জীবনে আগের তুলনায় অনেক বেশি পজিটিভ হয়ে যান।