হর-পার্বতীর মিলনকথা আমরা সকলেই জানি, সকলেই শুনেছি। আর তাদের এই মহামিলনকে যদি প্রতিমার আদলে তুলে ধরা হয় তাহলে কেমন লাগবে? ভাবছেন নিশ্চই? তাহলে আসতেই হবে ব্রহ্মপুর সম্মিলনী সংঘে।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডায় উপস্থিত ছিল বাংলার নানা ক্লাব। আর তাদেরই মত উপস্থিত হয়েছিল ব্রহ্মপুর সম্মিলনী সংঘ। জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে সঞ্চালক দিপালীর সাথে পুজোর আড্ডায় মেতে উঠলেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট পার্থ সারথী মুখার্জি, সম্পাদক উত্তম মন্ডল এবং ক্লাবের সদস্য অনুপ কুমার চ্যাটার্জি।
দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরেই এই ক্লাব নিজেদের দূর্গাপুজোর আয়োজন একেবারে শিষ্ঠা মেনে পালন করে চলেছেন। আর এই বছর তাদের থিম একেবারে অভিনব হবে তা বলাই বাহুল্য। এই বছর ব্রহ্মপুর সম্মিলনী সংঘ ক্লাবের পুজোর থিমের নাম ‘অর্ধনারীশ্বর’। অর্থাৎ হর ও পার্বতী মিলে এক ঈশ্বর, যা মিলিয়ে দেয় সকল নারী-পুরুষের ভেদাভেদকে। থিম শিল্পী অসীম পাল-এর তত্ত্বাবধানে প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে শিবলিঙ্গের আদলে, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্লাবের পুজোর প্রতিমা শিল্পী হিসেবে থাকা শ্যামল হালদার-এর হাতে তৈরি হচ্ছে অর্ধনারীশ্বর প্রতিমা।
এই বছর চতুর্থীতে এই ক্লাবের পুজোর শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে। আর এবছর ক্লাবের উদ্যোক্তারা নয়া চমক হিসেবে ক্লাবের সকল পুরুষদের একই রঙের পাঞ্জাবী পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া উদ্বোধন থেকে পুজোর প্রতিটা দিন ক্লাব প্রাঙ্গনে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি নবমীতে পাড়ার সকলকে নিয়ে একটি প্রীতিভোজেরও আয়োজন করতে চলেছে তারা।
সবমিলিয়ে অর্ধনারীশ্বরকে দেখতে আসতেই হচ্ছে ব্রহ্মপুর সম্মিলনী সংঘে। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে হবে কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে বোড়াল যাওয়ার কোনও বাস বা অটো ধরে নামতে হবে বেলতলা বাজার। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পৌছে যাবেন তাদের পুজোমন্ডপে।