পুজোর কাউন্টডাউন প্রায় শুরু হয়ে গেছে, হাতে মাত্র আর কটা দিন তারপরেই ঢাকের বাদ্যি, ধুপ কাঠির সুগন্ধ, দর্শনার্থীদের ভিড়ে ছেয়ে থাকবে কলকাতার প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপ। তাই প্রত্যেকটি পূজা কমিটি এখন যুদ্ধকালিন তৎপরতায় চলছে শেষ মূহুর্তের কাজ। তাই সকল দর্শনার্থীদের কলকাতার বিভিন্ন পুজোর বিষয়ে দর্শকদের জানাতে তৈরী জিয়ো বাংলা। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমাদের সাথে উপস্থিত থিলেন ব্রহ্মপুর হরিসভা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক গৌতম রায় ও দুইজন সহ-সম্পাদক রাজিব পালিত ও সুজয় ঘোষ।
সঞ্চালক সিঞ্চিতার সাথে তাদের পুজোর ব্যাপারে জানলাম আমরাও। এই ৫০ বছরের পথচলায় বেশ কিছু বছর তারা থিমের পুজোও করেছেন আবার কোনও কোনও সময় ফিরে গেছেন সাবেকিয়ানায়। তবে এই বছর সুবর্ণ জয়ন্তি বর্ষ অর্থাৎ ৫০তম বর্ষে তাদের থিম “বেঁধে রাখ প্রাণ, একতাই সম্বল” অর্থাৎ সমজে কোনও পরিবর্তন আনতে গেলে একাহাতে সেই পরিবর্তন আনা খুব কঠিন, একত্রিত বা ঐক্যবদ্ধ হলেই সেই পরিবর্তন আনা সহজ। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা অঙ্গিকার নিয়েই শিল্পী ঔমিত্র দাসের সৃজনশীলতায় সেজে উঠছে তাদের থিম।
আর পাঁচটা পুজোর মত এই ক্লাব কিন্তু নিরামিষ আহারে বিশ্বাসী নয়। তাই পুজোর পাঁচদিনই সকল পল্লীবাসীদের জন্য থাকে আমিষ আহারের আয়োজন। পুজো ছাড়াও বছরভর তারা বিভিন্ন সামাজিক কাজ কর্মেও নিযুক্ত থাকেন, সে ছোটদের স্পোর্টসই হোক বা রক্তদান শিবির, সামাজিক কর্তব্য করতে তাদের বিন্দু মাত্র ত্রুটি থাকে না। দমদম বা কবি সুভাষগামী যে কোনও মেট্রো-এ উঠে নামতে হবে মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো, সেখান থেকে সরাসরি অটো করে পৌঁছে যেতে পারেন ব্রহ্মপুর হরিসভা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মন্ডপে।