স্বপ্ন দেখার সেরা সময় হলো ছেলেবেলা। সেই সময় ছেলেমেয়েদের চোখে থাকে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক স্বপ্ন। কেউ বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় তো কেউ শিক্ষক, কেউ বা মহাকাশে পাড়ি দিতে চায় আর কেউ চায় পাইলট হয়ে প্লেন নিয়ে দেশ দেশান্তর ঘুরতে। বড় হওয়ার সাথে সাথে পড়াশোনা, চাকরির আড়ালে হারিয়ে যায় সেইসব স্বপ্ন।তাই ছোটবেলার স্বপ্ন ছোটবেলাতেই পূরণ করে নিতে চান অনেকে। সম্প্রতি সেরকমই স্বপ্ন পূরণের একটি ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা হুজহউ শহর।
সম্প্রতি জানা যায়, ছোটবেলা থেকে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখা এক বালক সোজা ঢুকে পড়ে ছোট একটি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে। সেখানে গিয়েই সে একটি বিমানে চেপে বসে। তাতেই ক্ষান্ত হয়নি সেই বালক। সেই বিমানটিকে চালানোর চেষ্টা করে সে। কিন্তু কাঁচা হাত হওয়ার কারণে সেই বিমানটি নিয়ে সে এগিয়ে যায় গার্ডরেলের দিকে। তারপর খায় ধাক্কা। কিন্তু তাতেও হার মানতে রাজি নয় সেই ১৩ বছরের বালক। এরপরেও হাল ছাড়েনি সেই বালক। সেই বিমান থেকে নেমে সে চড়ে বসে পরবর্তী একটি বিমানে। সেটিকেও চালানোর চেষ্টা করে সে কিন্তু বিফল হয় তাতেও। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব চীনের বোজিয়াং প্রদেশের হুজহউ শহরে।
সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ঘুরতে দেখা যায় এই বালককে নিয়ে নানা পোস্ট। জানা যায়, চীনের একটি ছোট বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ে একজন ১৩ বছরের বালক। সকলের চোখ এড়িয়ে ঢুকে পড়া সেই বালক প্রথমেই চলে যায় বিমানবন্দরের কোনার দিকে রাখা ছোট বিমানগুলির দিকে।তারপরই একটি বিমান চালানোর প্রচেষ্টা করে সে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বিমান চালাতে বিফল হওয়ার পর সে আরেকটি বিমান চালানোর চেষ্টা করে।সম্পূর্ণ ভিডিওটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্ট করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আর পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায় সেটি।
এইভাবে সকলের চোখের আড়ালে গিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করা বালকের শেষ পর্যন্ত কি হলো জানতে নিশ্চই ইচ্ছে করছে? বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি গার্ডরেল ধাক্কা মারায় প্রায় ৮,০০০ ইয়ান ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম প্রায় ৮০,০০০ টাকা। হ্যাঁ, বিমান চুরির অপরাধে তাকে বেশ কঠিন শাস্তিই পেতে হয়েছে। তবে এই কঠিন শাস্তিটি পেয়ে সেই বালক যে খুব খুশি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কি ভাবছেন? এমন কি শাস্তি পেলো যে খুশি হলো? হবে নাই বা কেন? তার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে যে! কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বয়সে কাঁচা হাতে একটি বিমানকে রানওয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার কাজ। তাই এই বালকের বাবা মা যদি রাজি থাকে তাহলে তাকে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দিতে চান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।